প্রতীকী ছবি
দলে সাংগাঠনিক রদবদল হয়েছে কয়েকদিন আগেই। এর পরেই জেলায় দলকে শক্তপোক্ত করতে উদ্যোগী হল তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকের নিষ্ক্রিয় নেতা-কর্মীদের ফের দলের কাজে সক্রিয় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী ব্লক সভাপতিদের কাছে এ বিষয়ে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সমতো ব্লক সভাপতি-সহ অন্য জেলা নেতৃত্ব নিষ্ক্রিয় নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। জেলা সভাপতি শিশির বলছেন, দলের যেসব নেতা-কর্মী অন্য দলে চলে গিয়েছিলেন বা বিভিন্ন কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন, তাঁদের ফের দলে ফেরানো এবং কাজে যুক্ত করার জন্য ব্লক সভাপতিদের উদ্যোগী হতে বলেছি। যারা অন্য দলে চলে গিয়ে ফের আমাদের দলে ফিরতে চেয়েছেন, তাঁদের আবেদন জমা নেওয়া হবে। আবেদন খতিয়ে দেখে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসনের ১৩টি ছিল তৃণমূলের। জেলা পরিষদ, সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি এবং প্রায় সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে তারা। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তিতে ১৪টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তবে সম্প্রতি খেজুরি, নন্দীগ্রাম, শহিদ মাতঙ্গিনী ও তমলুকে দলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল একাধিকবার সামনে এসেছে। যা শাসক শিবিরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের জেলায় তৃণমূলের সংগঠনে বড়সড় ভাঙনের ঘটনা না ঘটলেও এই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে দলের একাংশ নেতা-কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। এর ফলে আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়াই কঠিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন পুরসভা ও ব্লক এলাকায় দলের নিষ্ক্রিয় নেতা-কর্মীদের ফের দলের কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে আর্জি জানানো হচ্ছে। এ জন্য ব্লক, অঞ্চল ও বুথস্তরের স্থানীয় নিষ্ক্রিয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের চিহ্নিতও করা হচ্ছে। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানভঞ্জন এবং সর্বোপরি ফের দলের ফেরানো হবে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘দলের যেসব নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কারণে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন, তাঁদের ফের দলীয় কাজে যুক্ত করার নির্দেশ মিলেছে। সেই মতো ব্লকের কয়েকটি অঞ্চলে স্থানীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি।’’