প্রতীকী ছবি।
ঠুকঠুকের পালা শেষ। এ বার রীতিমতো ধুন্ধুমার! তাপমাত্রার পারদ সাত পেরিয়ে ঠেকল ছয়ের ঘরে।
শেষ কবে এমন শীতে কেঁপেছে মেদিনীপুর মনে করতে পারছেন না শহরের প্রবীণেরাও। দিন কয়েক ধরেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নামছিল। এ বার নেমে একেবারে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে চলে এল। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে এক সময়ে মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ৬.৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটাই ছিল চলতি মরসুমে শহরের শীতলতম দিন।
শহরের প্রবীণেরা জানাচ্ছেন, বছর কয়েক আগে একবার শীতে মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল। তবে এর নীচে নামেনি। শহরে শীত যেন পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ার দিকে এগোচ্ছে। ওই স্টাডিজ সূত্রে খবর, শীতের প্রকোপ এখনই কমবে না। এমনকি দিন কয়েকের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
কয়েক দিন ধরেই মেদিনীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল ৭-৮ থেকে ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বড়দিনের দিন কয়েক আগে থেকেই হিম-হাওয়া বইতে শুরু করে জেলার সদর শহরে। গত ২৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানা যাচ্ছে, এখন প্রায় প্রতিদিনই রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমে আসছে। দিনের প্রায় সময়ই বইছে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া। তবে শহরে অবশ্য শৈত্যপ্রবাহের কোনও সতর্কতা এখনও নেই। তবে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার টের মিলবে। মেদিনীপুরে এ বার ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেছে শীত।