রিপোর্টে দুর্নীতি, মানছে না পুরসভা

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে প্রথম পর্যায়ে তমলুক পুরসভা এলাকায় ৫৪২টি পাকা বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২২
Share:

তদন্তের রিপোর্ট।

আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে। জমা পড়েছে রিপোর্ট। তাতে অনিয়মের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু তার পরেও দুর্নীতির অভিযোগ মানতে রাজি নন পুর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে প্রথম পর্যায়ে তমলুক পুরসভা এলাকায় ৫৪২টি পাকা বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বহু সম্পন্ন পরিবার এবং পাকা বাড়ির মালিকদেরও ওই প্রকল্পে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গত জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তমলুক শহর কংগ্রেস সভাপতি শেখ জিয়াদ। তাঁর অভিযোগ ছিল, ৬৫ জন প্রাপক ওই প্রকল্পের যোগ্য নন। তা-ও দুর্নীতি করে তাঁদের সুবিধা দিয়েছে পুরসভা।

মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে জিয়াদের অভিযোগের তদন্ত করেন জেলার পুরসভা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। রিপোর্টে পুর এলাকায় ‘হাউসিং ফর প্রকল্পে’ প্রাপকদের তালিকায় অনিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। উপকৃত পরিবারের তালিকায় ২০টি সম্পন্ন পরিবার, একজন চাকুরিজীবী ও একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর নাম রয়েছে রিপোর্টে উল্লেখ হয়েছে। এর পরেই জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভা কর্তৃপক্ষকে তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

অবশ্য তমলুক পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই প্রকল্পে পুরসভার বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তমলুকের তৃণমূল পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘ওই অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের তরফে আমাদের জানানো হয়েছে যে, বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় থাকা দু-জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। আমরা ওই দু’জনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তাঁরা পরিবারের অন্যজনের নামে বাড়ি পেয়েছেন। প্রশাসনিক তদন্ত রিপোর্ট এখনও আমাদের কাছে আসেনি। পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, রিপোর্টে ২০ জনের ক্ষেত্রে অনিয়মের উল্লেখ থাকলেও পুরসভা তা অস্বীকার করছে কী করে?

কংগ্রেস নেতা জিয়াদ বলেন, ‘‘গরীব পরিবারের জন্য পাকাবাড়ি তৈরির প্রকল্পে তমলুক পুরসভা কর্তৃপক্ষ প্রথম দফায় যে ৫৪২ জন উপকৃত পরিবারের নামের তালিকা করে টাকা বরাদ্দ করেছে, তাতে বেশ কিছু সম্পন্ন পরিবারের নাম ছিল। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্টেও অনিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের তোলা ওই অভিযোগ কার্যত মেনেও নিয়েছে প্রশাসন। আমরা চাই এ বিষয়ে প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement