Swastha sathi

স্বাস্থ্যসাথীতে বিজেপি সভাপতির বাবা-মা

প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ৫ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম পুর এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন সুখময়ের পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ০২:০৩
Share:

আঙুলের ছাপ দিচ্ছেন সুখময় শতপথীর মা স্নেহলতা। পাশে সুখময়ের বাবা অবনীবান্ধব ও বোন অর্চনা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে কড়া সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে না বলে দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীরা নিয়মিত বিঁধছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। সংঘাতের এই আবহেই ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথীর বাবা, মা ও বোন শনিবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করালেন। সুখময়ের জেঠু ও জেঠিমাও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়েছেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ৫ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম পুর এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন সুখময়ের পরিবারের সদস্যরা। শনিবার ওই ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের ছবি তোলার দিন ছিল। উপভোক্তাদের কার্ডও দেওয়া হচ্ছিল। ছবি তুলতেই শিবিরে যান সুখময়ের বাবা ৮৯ বছরের অবনীবান্ধব শতপথী, মা ৭৫ বছরের স্নেহলতা শতপথী, অবিবাহিত বোন বছর পঁয়তাল্লিশের অর্চনা শতপথী। সুখময়ের জেঠু ৯১ বছরের অবলাবান্ধব শতপথী, জেঠিমা ৭৮ বছরের বনলতাও গিয়েছিলেন।

ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের কাছেই সুখময়ের পৈতৃক বাড়ি। সেখানে বাবা-মা-বোন ও জেঠু-জেঠিমা থাকেন। সুখময় সেটেলমেন্ট মোড় লাগোয়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সুখময় নিজে, তাঁর স্ত্রী মোনালিসা ও মেয়ে প্রত্যাশারও নাম ছিল ছবি তোলার তালিকায়। তাঁরা অবশ্য যাননি। সুখময়ের বোন অর্চনা বলেন, ‘‘কার্ডে সত্যিই পরিষেবা মিলবে কি-না দেখার জন্যই কার্ড নিয়েছি।’’ সুখময়েরও দাবি, ‘‘রাজ্য সরকার বিপুল টাকা খরচ করে সবার জন্য নিখরচায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার দাবি করছে। এই দাবির সারবত্তা যাচাই করতেই আমার পরিবারের সদস্যরা এদিন শিবিরে গিয়ে কার্ড নিয়েছেন।’’

Advertisement

এ নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মুর কটাক্ষ, ‘‘সুখময়বাবু নিজেও কার্ড নিলে ভাল করতেন। তবে ওঁর পরিবারের সদস্যরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে আস্থাশীল।’’ সুখময় বলছেন, ‘‘মাস চারেক পরে এ রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালুর ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। তখন ওই কার্ড করাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement