বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরে পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
একসঙ্গে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের ইন্দার পীরবাবা মাজারে গিয়ে প্রথমে চাদর চড়ান শুভেন্দু। পরে তিনি যান শহরের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত পাঁচবেড়িয়ার ৪নম্বর ওয়ার্ডের সাত্তারচকে। খড়্গপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে জয়ের কৃতজ্ঞতা জানাতে সাত্তারচকে তৃণমূলের সভায় সরাসরি নয়া নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গ না তুললেও শুভেন্দু বলেন, ‘‘সারা দেশ জুড়ে যা চলছে তাতে আমার আবেদন, ভ্রাতৃত্ববোধ-শান্তি-সম্প্রীতি বাংলার যে বহু পুরনো ঐতিহ্য সেটা বজায় রাখুন। এই মাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামের। এখানে আমরা একসঙ্গে থাকব, বাংলার উন্নতি এগিয়ে নিয়ে যাব।” যদিও মঞ্চে এ দিন শহরে তৃণমূল নেতাদের ‘পাঁচ মাথা’র মধ্যে জেলা নেতা দেবাশিস চৌধুরী ছিলেন না। দেবাশিস অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এ দিন পথে নেমেছে যুব কংগ্রেস, সিপিএম, এসইউসি। সভা করেছে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দও। মেদিনীপুরে যুব কংগ্রেসের মিছিলে ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল, জেলা সহ- সভাপতি সুহাশিস পণ্ডা, কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের জেলা চেয়ারম্যান মহম্মদ ইশাক প্রমুখ। মিছিল শেষে সইফুল বলেন, ‘‘এটা একটা কালা কানুন।’’ কেশপুর বাজার এলাকা-সহ জেলার ২৪টি এলাকায় মিছিল করেছে বামেরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ‘‘ধর্মের নামে বিভেদ মানছি না। নয়া আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন চলবে।’’ মেদিনীপুর শহরের মিছিলে ছিলেন দীপক সরকার, তরুণ রায়, সন্তোষ রানারা।
আগামী রবিবার কলকাতায় জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের সমাবেশ রয়েছে। সমাবেশের সমর্থনে এ দিন মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে সংগঠনের সভায় ছিলেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। প্রস্তুতি সভা শেষে সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘‘বাংলায় আমরা এক হয়ে আছি। এক হয়ে থাকব।’’
কেশিয়াড়িতে মিছিল ও পথসভা করেছে এসইউসি। ঘাটাল এবং চন্দ্রকোনা রোডে মিছিল করেছে তৃণমূল। ঘাটালের জলসরা থেকে বিদ্যাসাগর হাইস্কুল মাঠ পযর্ন্ত ছ’কিলোমিটার মিছিলে হাঁটেন কয়েক হাজার তৃণমূল সমর্থক। মিছিল হয়েছে জলসরাতেও। সকালে গড়বেতা ৩ ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে মিছিলে হাঁটেন জেলা সভাধিপতি তৃণমূল নেত্রী উত্তরা সিংহ, বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোরা। স্টেশনপাড়া মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সাতবাঁকুড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার পথে মিছিল শেষে হয় পথসভা।