বিরোধীদের জামানত জব্দ হবে, দাবি শুভেন্দুর

মঙ্গলবার খড়্গপুর গ্রামীণের মাতকাতপুরে (মোহনপুরে) তৃণমূলের সভায় শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায় প্রমুখ। জেলায় বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০০:০০
Share:

বক্তা: মাতকাতপুরের সভায় পরিবহণমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

একুশে জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। তার প্রস্তুতি সভায় খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকায় এসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের সূচনা করে দিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম আর বিজেপির জামানত জব্দ করার ডাক দিলেন তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবার খড়্গপুর গ্রামীণের মাতকাতপুরে (মোহনপুরে) তৃণমূলের সভায় শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায় প্রমুখ। জেলায় বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। তাই ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভাতেও বিজেপিকে রুখে দেওয়ার কথা শোনা যায় তৃণমূল নেতাদের মুখে। সম্প্রতি খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে ঘিরে জেলায় শোরগোল পড়েছে। বিভিন্ন সভায় তার সমালোচনা শোনা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের কথায়। যেসব এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়ছে তার মধ্যে খড়্গপুর গ্রামীণ অন্যতম। তাই এই এলাকায় অনুষ্ঠিত সভা থেকে উপস্থিত জেলা নেতাদের সকলেই বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন। যদিও শুভেন্দুর গলায় ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় সিপিএম ও বিজেপির জামানত জব্দ হবে। এই জেলা দিদির ছিল, আছে ও থাকবে। এই অঙ্গীকার নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরে যাব।”

এ দিন সভার শুরু থেকেই শুভেন্দু নামোচ্চারণ করেননি। তবে বাংলাকে অখণ্ড রাখতে কর্মীদের শপথ নিতে বলেন তিনি। বিজেপিকে উহ্য রেখেই পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “একটি দলের প্রয়াস রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করে তৃণমূলকে ধ্বংস কর, কালিমালিপ্ত কর। বাংলাকে যাঁরা ভাগ করতে চায় দার্জিলিংয়ে তাঁদের মদত দিয়ে পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। আপনারা বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করতে না দেওয়ার শপথ নিন।” কন্যাশ্রী-সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসাও শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। এ দিনের সভায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু আরও বলেন, “এই জেলা আমার হাতের তালুক। ভাল সময়ে পাঁচবার ডাকলে একবার আসব। আর এই জেলায় যদি আপনাদের চোখের জল পরে, এক ফোঁটা রক্ত পরে, কাহলে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি যেমন মৃতদেহ কুড়িয়ে অশ্বিনী চালকদের হটিয়ে দিয়েছিলাম, আগামী দিনে সেটাও করতে রাজি আছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement