শোকার্ত পরিজনরা। সোহম গুহর তোলা ছবি।
এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাপান উতোর শুরু হয়েছে খেজুরিতে। মৃত পীযূষ প্রামাণিক (৫২) খেজুরির সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। শিল্লাবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পীযূষবাবু তৃণমূল কর্মী ছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা না-হলেও তালপাটি থানার পুলিশ সুনীল মণ্ডল ও পবিত্র সাউ নামে দু’জনকে আটক করেছে। তাঁরা আবার সিপিএম কর্মী হিসাবে পরিচিত। ফলে শুরু হয়েছে চাপান উতোর।
তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর অভিযোগ, “খেজুরির ঘরছাড়া সিপিএম কর্মীরা গ্রামে ফিরে ভোটের মুখে ফের খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাস অবশ্য আটক দুই ব্যক্তিকে দলীয় কর্মী বলে মানতে অস্বীকার করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “বাসন্তী পুজো উপলক্ষে বুধবার রাতে মদের আসরে বাক-বিতন্ডার জেরেই পীযুষ প্রামাণিক খুন হন। এর মধ্যে কোন রাজনৈতিক ব্যাপার নেই। বরং উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই সিপিএমের নাম জড়ানো হচ্ছে।”
খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কিনা, তা জানাতে পারেননি মৃতের স্ত্রী রেখা প্রামাণিকও। তিনি জানান, পীযুষবাবুর মদ্যপানে আসক্তি ছিল। সুনীল মণ্ডল ও পবিত্র সাউয়ের সঙ্গেই নিয়মিত মদ্যপান করতেন। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ বাসন্তীপুজো উপলক্ষে পীযূষবাবু পাশের আলিপুরে গ্রামের মণ্ডপে গিয়েছিলেন। সেখানে কারও সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরপর রাত ১২টা নাগাদ পুজো মণ্ডপ থেকে প্রায় চারশো মিটার দূরে পীযুষবাবুকে উদ্ধার করা হয়।