তমলুকে বৃষ্টি। নিজস্ব চিত্র।
বসন্তের মাঝে দিনতিনেক ধরে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় শুরু হয়েছিল তাপপ্রবাহ। পূর্ব মেদিনীপুরেও তাপমাত্রা বাড়ায় মিলছিল গ্রীষ্মের আভাস। এই আবহে রবিবার সন্ধ্যায় জেলার কিছু এলাকায় হয় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। পড়ল শিলাও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ও দিন বিকেল থেকে পাঁশকুড়া ব্লক জুড়ে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় ওঠে। শুরু হয় বৃষ্টি। শুরুর দিকে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা তেমন না থাকলেও পরে তা তীব্র হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে বৃষ্টি চলে। পাঁশকুড়া ব্লকের মাইশোরা, কেশাপাট, পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। রাত ৯টাতেও বৃষ্টি থামেনি। বৃষ্টি ও শিলা পড়েছে কোলাঘাট ব্লকেও।
কোলাঘাটের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উপনগরী, দেউলিয়া, পানশিলা-সহ একাধিক এলাকায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে বৃষ্টি চলে। সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে মেচেদা বাজার এবং সংলগ্ন এলাকায়। এর জেরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে বিপাকে পড়েন এলাকাবাসী। ময়না ও নন্দকুমার এলাকাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। রাত সওয়া ৮টা নাগাদ তমলুক শহরে বৃষ্টি শুরু হয়।
ঝড়ের দাপটে কোলাঘাট থানা লাগোয়া পেট্রোল পাম্পের কাছে হলদিয়াগামী ১১৬বি জাতীয় সড়কের উড়ালপুলের উপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দীর্ঘ সময় সড়ক বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে বৃষ্টি থামলে কোলাঘাট থানার পুলিশ, ট্রাফিক ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ গাছ কেটে যানজট মুক্ত করে।
কোলাঘাট এবং পাঁশকুড়া ব্লকে জুড়ে এ দিন শিলাবৃষ্টি হওয়ায় রবি শস্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ধানের ক্ষেত্রে শিস এসে যাওয়ায় কৃষকদের ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল। পাঁশকুড়া ব্লকে গাঁদা ও দোপাটি ফুলের চাষ হয়েছিল এ সময়। সেই ফুল এবং তিল, সর্ষে, বাদাম ও কলাই চাষ একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে গতকয়েকদিনে যে তাপপ্রবাহ বাড়ছিল, এ দিনের বৃষ্টিতে তা থেকে স্বস্তি পেয়েছেন ওই দুই ব্লকের বাসিন্দারা।