আদালতের নির্দেশে দোকান উচ্ছেদ দিঘায়

নিউ দিঘায় সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ক্ষণিকা ঘাটের কাছে বন ফতরের জায়গা বেদখল করে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করল প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এই উচ্ছেদ অভিযান চলে। উচ্ছেদ অভিযানে মোট ১৯০ টি দোকান ঘর ভাঙা হয় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:২২
Share:

নিউ দিঘায় সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ক্ষণিকা ঘাটের কাছে বন ফতরের জায়গা বেদখল করে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করল প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এই উচ্ছেদ অভিযান চলে। উচ্ছেদ অভিযানে মোট ১৯০ টি দোকান ঘর ভাঙা হয় বলে জানা গিয়েছে। বন দফতর, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ– প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বন আধিকারিক স্বাগতা দাস বলেন, ‘‘নিউ দিঘায় সমুদ্র সৈকতের কাছে বন দফতরের জায়গা দখল করে বছর খানেক আগে বেশ কিছু অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছিল। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে এ দিন বন দফতরের জায়গায় থাকা ওইসব দোকানঘর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

নিউ দিঘায় সমুদ্র সৈকতের কাছে ঝাউ বাগানের মধ্যে জমি দোকানঘর গড়ে তোলায় পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে বলে জাতীয় পরিবেশ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালত নিউ দিঘায় বন দফতরের ওই জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বন দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে গত ডিসেম্বর মাসে বন দফতর ও জেলা পুলিশ-প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় গড়ে দোকান উচ্ছেদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সে সময় দোকানদাররা উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। হাইকোর্টের বন দফতরের জায়গায় দখলদার উচ্ছেদ অভিযান স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করেন। এরপরই জেলা বন দফতরের তরফে এ দিন নিউ দিঘায় ওই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। জেলা বন আধকারিক বলেন, ‘‘ওইসব দোকানর উচ্ছেদের জেরে বন দফতরের ফাঁকা জায়গায় বন সৃজন সহ সৌন্দর্যায়নের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement