কলেজের এই ভবনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস হওয়ার কথা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো রাজ্য তথা জেলার নতুন মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তা সত্ত্বেও নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু কবে হবে, ধোঁয়াশা রয়েছে।
দুর্গাপুজোর ছুটি চলাকালীন স্নাতকের ফলাফল বেরবে। তার পরেই স্নাতকোত্তরে ভর্তি শুরু। কিন্তু স্নাতকস্তরে উত্তীর্ণ ছেলেমেয়েরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন, না কি পুরনো রীতিতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হবেন, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। কারণ, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোই এখনও গড়ে উঠেনি।
দ্বিতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করা হয়। মহিষাদলের বামুনিয়া মৌজায় আড়াই একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাজ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ওই জমিতে শুধু প্রাচীরের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা পর থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম এবং পঠন-পাঠন মহিষাদলের রাজ কলেজে হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য কলেজের নব নির্মিত ভবনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলা ছেড়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ওই কলেজে ঘুরে গিয়েছেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি ও মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য কলেজ ভবন গোড়া থেকেই ফাঁকা রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলেই রাজ কলেজ ব্যবহার করতে পারেন।’’
যদিও এখন পর্যন্ত নতুন বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটি, অধ্যাপক ও অন্যান্য শিক্ষা কর্মী নিয়োগ, প্রাথমিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা কিছুই শুরু হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। আর তাতেই দুর্গা পুজোর পরে স্নাতকোত্তর বিভাগে নতুন শিক্ষাবর্ষ ভর্তি শুরু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ।
মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য সুব্রতকুমার দে অবশ্য বলেন, ‘‘পুজোর ছুটির পরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেব। তারপরেই পরিকাঠামো এবং শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু করা হবে।’’