Coronavirus

TMC: টিকিট পেতেই কি ঘন ঘন মাস্ক বিলি!

কয়েকদিন আগে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে মাস্ক বিলি করেছেন অনিন্দ্য। এ দিন শহরের শিব মন্দির মোড়ে মাস্ক বিলি করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৮
Share:

মঙ্গলবার শহরের শিব মন্দির মোড়ে মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন ঝাড়গ্রাম শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি। নিজস্ব চিত্র

সামনেই পুরসভা নির্বাচন। আর ভোট আসতেই নাকি সক্রিয় হয়েছেন ঝাড়গ্রামের শহর যুব তৃণমূল সভাপতি। ঘন ঘন মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি করছেন।

Advertisement

মঙ্গলবারও শিব মন্দির মোড়ে গুটি কয়েক সঙ্গীকে নিয়ে মাস্ক বিতরণ করেন শহর যুব তৃণমূল সভাপতি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এই হঠাৎ সক্রিয়তায় দলের অন্দরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তাঁকে ‘বসন্তের কোকিল’ বলে কটাক্ষ করছেন। শহর যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, সভাপতি ভোট আসতেই জেগে উঠেছেন। নিজের মতো কর্মসূচি করছেন। সবাইকে ডাকছেনও না।

২০১৯ সালের শেষ দিকে শহর যুব তৃণমূলে সভাপতির দায়িত্ব পান পেশায় আইনজীবী অনিন্দ্য। ২০১৩ সালে অবশ্য তৃণমূলের টিকিট পাননি। ক্ষুব্ধ হয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন তিনি। আর মাত্র ৯৬টি ভোট পেয়েছিলেন। তারপর আর তাঁকে সে ভাবে রাজনীতিতে দেখা যায়নি। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষ দিকে পদপ্রাপ্তির পরে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। কিন্তু দলেরই নেতা-কর্মীরা বলছেন, করোনা কালে শহর সভাপতিকে সক্রিয় ভাবে কর্মসূচি নিতে দেখা যায়নি। ভোট আসতেই তিনি পথে নেমে মাস্ক দিচ্ছেন।

Advertisement

শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড যুব তৃণমূলের সভাপতি শেখ নাসির বলেন, ‘‘কখন কী কর্মসূচি হচ্ছে জানতেও পারছি না। আমাদের এ দিনও ডাকা হয়নি।’’ ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুব তৃণমূল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ মাইতির কথায়, ‘‘কয়েকদিন আগেও মাস্ক বিলি করেছেন শহর সভাপতি। অনেককে জানাননি। আবার এ দিন কী হয়েছে তা-ও জানি না।’’ শহর যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রতিম দাসেরও ক্ষোভ, ‘‘শহর সভাপতি আমাদের ডাকেননি। উনি নিজের মতো অনুষ্ঠান করছেন। জেলা সভাপতিকে সমস্যা জানিয়েছি।’’

কয়েকদিন আগে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে মাস্ক বিলি করেছেন অনিন্দ্য। এ দিন শহরের শিব মন্দির মোড়ে মাস্ক বিলি করেছেন তিনি। পুরভোটে টিকিট-প্রত্যাশী বলেই কি এই সব করছেন?সদুত্তর এড়িয়ে অনিন্দ্য বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো কম লোকজনকে নিয়ে ছোট করে কর্মসূচি করা হচ্ছে। সবসময় হয়তো সবাইকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে কম-বেশি সবাইকে খবর দেওয়া হয়েছে।’’ তবে শহর যুব সভাপতির আরও সংযোজন, ‘‘দল আমাকে সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছে। তাই সংগঠনের কাজ করছি। নিন্দুকেরা অনেক কিছু বলবে। আর টিকিট দেওয়ার দায়িত্ব দলের। দল যোগ্য মানুষকেই টিকিট দেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement