প্রতীকী চিত্র।
আবাস আবহে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন ‘দিদির দূত’রা। তাই আগেভাগেই সতর্ক ঘাসফুল শিবির। আবাস যোজনা নিয়ে যথেষ্ট ‘হোমওয়ার্ক’ করেই তৃণমূল কর্মীরা নামছেন এই কর্মসূচিতে। দলীয় নেতৃত্ব সুরক্ষা কবচে যুক্ত ‘দিদির দূত’দের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন প্রতি ব্লকেই। জেলা নেতৃত্ব থেকেও কর্মীদের এ নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘দিদির দূত’ হয়ে প্রতি বাড়িতে যাওয়া দলীয় কর্মীদের হাতে থাকবে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ লেখা একটি রঙিন তিন পাতার ফোল্ডার। সেখানে দিদির সুরক্ষা কবচ হিসাবে ৬ টি ক্ষেত্রে ১৫ টি প্রকল্পের কথা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা হয়েছে সহজ সরল বাংলা ভাষায়। যা পড়ে- দেখে দিদির দূতেরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বলবেন, প্রকল্পের সুবিধা কতটা পেয়েছেন তা জানবেন। যেখানে আবাস ক্ষেত্রে ‘বাংলার আবাস যোজনা’ নিয়েও কিছু কথা লেখা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বলছেন, ‘‘এখন আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া - না পাওয়া নিয়ে প্রতি গ্রামেই চর্চা চলছে। এখনও আবাস নিয়ে হাওয়া গরম। সেক্ষেত্রে দিদির দূতেরা গিয়ে অবধারিতভাবে আবাস নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন।’’ তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ঠান্ডা মাথায় না বোঝালে হিতে বিপরীত হতে পারে।’’ সেই পরিস্থিতিতে পড়লে বেফাঁস মন্তব্য এড়িয়ে চলাই ভাল বলে কর্মীদের বোঝাচ্ছেন নেতারা।
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে দূতেরা যাতে গ্রামবাসীদের আবাস নিয়ে 'গরম' পরিস্থিতিতে না পড়েন, সেজন্য আগেভাগেই সতর্ক তৃণমূল। কর্মসূচিতে যুক্ত ‘দিদির দূত’দের প্রশিক্ষণে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বোঝাচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলছেন, ‘‘কর্মীদের বলেছি তোমরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এরকম প্রশ্নের মুখে পড়লে মানুষকে বোঝাবে আবাস যোজনার প্যারামিটার ঠিক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখানে রাজ্যের কোনও ব্যাপার নেই। তার পরেও আবাস নিয়ে প্রশ্ন এলে মানুষ যেন বিজেপিকে গিয়ে প্রশ্নটা করে।’’ যদিও এই কর্মসূচি শুরুর আগে কর্মীদের সতর্ক করে দেওয়ার মতো কিছু নেই বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো - অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘না, না সতর্ক করে দেওয়ার মতো কিছু নেই। রাজ্য তো নয়, আবাসের প্যারামিটার কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে দিয়েছে। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ভাবেই আটকে রাখতে পারবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন প্রতিটি গরিব মানুষকে আবাস দেবেন। কর্মীরা তাই বলবেন।’’ যদিও এনিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সম্পাদক চন্দ্রকোনা রোডের গৌতম কৌড়ি বলেন, ‘‘আবাস যোজনা নিয়ে তৃণমূল যা কীর্তি করেছে তা ওঁরা গ্রামে গেলেই টের পাবেন।’’