উদ্ধার হওয়া সোনা। নিজস্ব চিত্র
সাধারণ সোনার কারিগরকে দিয়েও যে সোনা পাচার করা হচ্ছে, তার প্রমাণ পেল শুল্ক দফতর।
রবিবার শেষ রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়, মুম্বই রোডে একটি বাস থেকে ২ কিলোগ্রাম চোরাই সোনা-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুল্ক দফতর জানিয়েছে, ধৃতের নাম গোরাচাঁদ হানরা। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরেরই দাসপুরে। ওড়িশার কটকে একটি সোনার দোকানে তিনি কারিগরের কাজ করতেন। এই সোনা সুইৎজারল্যান্ডে তৈরি বলে শুল্ক কর্তারা জানিয়েছেন। শুল্ক দফতর জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা ২ কিলোগ্রাম সোনার বাজারদর প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা।
কলকাতার শুল্ক দফতরের ‘প্রিভেনটিভ’ শাখার কাছে আগে থেকেই সোনা পাচারের খবর ছিল। সেই মতো রবিবার ঘাটালের দাসপুর থেকে কটকগামী বাসের পিছু নেন অফিসারেরা। দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১১টার পরে মুম্বই রোডে ডেবরার টোল প্লাজায় বাসটি দাঁড়াতেই নামিয়ে আনা হয় গোরাচাঁদকে। তাঁর ব্যাগে তল্লাশি করে প্রথমে এক কিলোগ্রাম ওজনের একটি সোনার বার পাওয়া যায়।
ওই শুল্ক কর্তা জানিয়েছেন, গোরাচাঁদকে কলকাতার দফতরে নিয়ে আসা হয়। একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ ছাড়াও তাঁর কাছে কাঁচা আনাজের একটি ব্যাগ ছিল। পটল, কুমড়ো, পেঁপে-সহ নানা আনাজে ভর্তি ওই ব্যাগ তল্লাশি করতেই তিনটি সোনার টুকরো পাওয়া যায়। এই তিনটি টুকরোর মোট ওজন এক কিলোগ্রাম।
শুল্ক অফিসারদের কথায়, দাসপুরে গোরাচাঁদের প্রতিবেশী এক যুবক কলকাতায় একটি সোনার দোকানে কারিগরের কাজ করে। এই যুবকও নিয়মিত সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে অফিসারেরা জানতে পেরেছেন। এই যুবকই পুজোর সময়ে দেশের বাড়িতে গিয়ে গোরাচাঁদকে ওই ২ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে আসে কটকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। পরিবর্তে মোটা টাকা পাওয়ার কথা ছিল গোরাচাঁদের। কলকাতার ওই যুবকেরও খোঁজ চলছে বলে শুল্ক অফিসারেরা জানিয়েছেন।