Shooting

লোকেশনের টানে দক্ষিণী সিনেমার শ্যুটিং জেলায়

ওই সংস্থার জানাচ্ছে, সিনেমার গল্পে রয়েছে, কেরলের কয়েকজন মেয়েকে বাংলার নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। ওই মেয়েদের মধ্যে নায়িকাও রয়েছেন।

Advertisement

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩১
Share:

ফাইট: শ্যুটিং চলছে চন্দ্রকোনায়। নিজস্ব চিত্র

সিনেমার শ্যুটিং এবং পর্যটনে জোর দিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় তৈরি হয়েছিল প্রয়াগ ফিল্ম সিটি। সাজানো হয়েছিল কৃত্রিম সেট দিয়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই ফিল্ম সিটির দরজায় তালা পড়েছে। বন্ধ হয়েছে শ্যুটিং। কিন্তু জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ হয়নি শ্যুটিংয়ের ধারা। গভীর জঙ্গল, পুরনো রাজবাড়ির মতো লোকেশনের টানে বর্তমানে ভিন্ রাজ্যের পরিচালকেরা জেলায় এসে শ্যুটিং করছেন।

Advertisement

সম্প্রতি এক দক্ষিণী সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে জেলার বিভিন্ন লোকেশনে। ‘ইভান ভেড়ে লেভাল’ নামে ওই মালায়ালম সিনেমার পরিচালক বেণী থমাস। মেদিনীপুরের স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা নির্মাতা সুদীপ্ত দে, রাকিবুল হাসানদের তৈরি একটি সংস্থা ওই মালয়ালম ছবির শ্যুটিংয়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল। সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, কেরল থেকে পরিচালক-সহ ১২ জনের একটি দল মেদিনীপুরে আসে। মেদিনীপুর শহর, চন্দ্রকোনা শহর, বেলদা, খেতুয়ার মতো জায়গায় আটদিন ধরে শ্যুটিং করেছে তারা।

ওই সংস্থার জানাচ্ছে, সিনেমার গল্পে রয়েছে, কেরলের কয়েকজন মেয়েকে বাংলার নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। ওই মেয়েদের মধ্যে নায়িকাও রয়েছেন। এ খবর পেয়েই নায়ক তাঁদের উদ্ধারে বাংলায় এসেছেন। বাংলায় শ্যুটিং সেই সূত্রেই। রাকিবুলের কথায়, ‘‘সিনেমার গল্পে বাংলার কথা উল্লেখ রয়েছে। গল্প দেখে পরিচালক বাংলায় স্পটে শুট করতে চেয়েছিলেন। তাই শুটিং ইউনিটের এখানে আসা।’’ তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় শ্যুটিংয়ের ডাবিংও এখানে হবে।’’

Advertisement

পরিচালক জেলায় লোকেশন দেখে খুশি বলে সংস্থা সূত্রের খবর। ফের মেদিনীপুরে শ্যুটিংয়ের কথা তিনি সুদীপ্তদের জানিয়ে গিয়েছেন। শুধু বেণী নন, রাকিবুল বলেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর ধরেই মালায়ালীরা আমাদের জেলায় শ্যুটিং করতে আসতে চাইছেন। আগেও দু’জন পরিচালকের এখানে আসার কথা ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আসতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বাতিল হয়।’’

উল্লেখ্য, অবিভক্ত মেদিনীপুরে সিনেমার শ্যুটিং নতুন নয়। এক সময়ে উত্তম কুমারের বাঘবন্দি খেলা, সন্ন্যাসী রাজা, বসন্ত বিলাপ, হালফিলের ব্রেক ফেল, অরুন্ধতী, দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন, সন্দীপ রায়ের টিনটোরেটোর যিশু’র মতো সিনেমার শ্যুটিং ঝাড়গ্রামে হয়েছে। বছর পাঁচেক আগে সন্দীপ রায়ের বাদশাহী আংটির ক্লাইম্যাক্সের শ্যুটিং হয়েছে কলাবনির জঙ্গলে। মহিষাদল রাজবাড়িতেও শ্যুটিং হয়।

শ্যুটিং বেশি হলে জেলার পর্যটন প্রসারেরও সম্ভাবনা থাকে। মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির অন্যতম কর্তা সিদ্ধার্থ সাঁতরার কথায়, ‘‘ছবিতে মেদিনীপুরকে দেখানো মানেই তো জেলার প্রচার। সিনেমা দেখে আরও বেশি পর্যটক জেলায় আসতে চাইবেন।’’ রাকিবুলও বলেন, ‘‘যত বেশি শ্যুটিং এখানে হবে, তত এখানকার পর্যটনের গুরুত্ব বাড়বে। জেলায় অনেক ভাল ভাল লোকেশন রয়েছে। ঠিকঠাক পরিকল্পনা করে এগোলে এখানেও সুষ্ঠুভাবে শ্যুটিং করা সম্ভব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement