প্রতীকী ছবি।
একেবারে ঘড়ির কাঁটার সময় ধরে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হতে চলেছে জেলা পরিষদে। স্থায়ী সমিতির সদস্যদের কাছে চিঠি পৌঁছতে শুরু করেছে। চিঠিতে নির্দিষ্ট করে সময়ের উল্লেখ রয়েছে। জানানো হয়েছে, কাকে ঠিক কোন সময়ে হাজির থাকতে হবে। অর্থাৎ, এক-এক স্থায়ী সমিতির নির্বাচন এক-এক সময়ে হবে। কেন? জেলা পরিষদের এক আধিকারিকের জবাব, ‘‘এটা নতুন নয়। এক-এক স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন এক-এক সময় হয়!’’
জেলার এক বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ অবশ্য বলছেন, ‘‘মনে হয় না গতবার এমনটা হয়েছিল বলে। যতদূর মনে পড়ছে, গতবার একই সময়ে আমরা জেলা পরিষদের এক সভাঘরে হাজির হয়েছিলাম। স্থায়ী সমিতির সকল সদস্যের সামনেই এক-এক স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হয়েছিল।’’ তাহলে কি কোন্দল এড়াতেই এ ভাবে সময় ভাগ? ওই বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষের মন্তব্য, ‘‘সব প্রশ্নের উত্তর হয় না কি! কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে হয়!’’
জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, পরশু, শুক্রবার কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হবে। ওই দিন দুপুর ১টা থেকে জেলা পরিষদের এক সভাঘরে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনপর্ব শুরু হবে। চলবে বিকেল ৩টে ১৫ পর্যন্ত। থাকবেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌর মণ্ডল, জেলা পরিষদের সচিব প্রবীর ঘোষ প্রমুখ। কেমন ভাবে সময় ধরে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হতে চলেছে? জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, ১টায় জনস্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হবে। এই সমিতি দিয়েই শুরু। প্রতি সমিতির জন্য বরাদ্দ থাকছে ১৫ মিনিট। ৩টেয় বিদ্যুৎ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন দিয়ে শেষ হবে। জেলা পরিষদে ৯টি স্থায়ী সমিতি রয়েছে।
খাদ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের সময় যেমন ধার্য্য হয়েছে ২টা ৪৫-এ। এই সমিতির সদস্যদের নির্ধারিত সময়ে হাজির থাকার কথা জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, কারা কর্মাধ্যক্ষ হবেন, কারা হবেন না, তা মোটের উপর ঠিক হয়েছে। দলের ওই সূত্রে খবর, রমাপ্রসাদ কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ হতে পারেন। নেপাল বন-ভূমি, প্রতিভা নারী-শিশুকল্যাণ, মামনি শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হতে পারেন। পুরনো যাঁরা থাকছেন, তাঁদের দফতর বদলানোর সম্ভাবনাই বেশি। অমূল্য মাইতি খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হতে পারেন। শৈবাল গিরি বিদ্যুৎ, শ্যামপদ পাত্র জনস্বাস্থ্য, জারিনা ইয়াসমিন মৎস্য-প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ হতে পারেন। অধ্যক্ষ হতে পারেন তপন দত্ত। উপাধ্যক্ষ হতে পারেন কাবেরী চট্টোপাধ্যায়। দলনেতা হতে পারেন হামিদ কাজী।