পালানোর চেষ্টা বন্দির, ফের প্রশ্নে নিরাপত্তা

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্ণ-কাণ্ডের পর থেকে প্রতিদিন দু’ঘণ্টা অন্তর বন্দিদের সংখ্যা গোনা হয়। বুধবার দুপুর ১২ টার কাউন্টিংয়ে দেখা যায় এক বন্দি নেই। সঙ্গে সঙ্গে সাইরেন বেজে ওঠে এই সাব জেলে। খবর পেয়ে চলে আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পার্থ ঘোষ, উপ মহকুমাশাসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, কাঁথি থানার আই সি তাপস পাল। জেলের ভেতর চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ০৩:১২
Share:

কাঁথি-সাবজেল: নিজস্ব চিত্র

মাস কয়েক আগে কাঁথি উপ-সংশোধনাগার থেকে বন্দি পালানো নিয়ে হইচই বেধে গিয়েছিল। পালিয়ে যায় কর্ণ নামে এক দাগী আসামী। সেই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে মহকুমা প্রশাসন। প্রশ্ন উঠেছিল উপ-সংশোধনাগারের নিরাপত্তার পরিকাঠামো নিয়ে। বুধবার এক বন্দি সংশোধনাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করায় জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল।

Advertisement

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্ণ-কাণ্ডের পর থেকে প্রতিদিন দু’ঘণ্টা অন্তর বন্দিদের সংখ্যা গোনা হয়। বুধবার দুপুর ১২ টার কাউন্টিংয়ে দেখা যায় এক বন্দি নেই। সঙ্গে সঙ্গে সাইরেন বেজে ওঠে এই সাব জেলে। খবর পেয়ে চলে আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পার্থ ঘোষ, উপ মহকুমাশাসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, কাঁথি থানার আই সি তাপস পাল। জেলের ভেতর চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। দুপুর ২টো নাগাদ খোঁজ মেলে ওই বন্দির। দিব্যেন্দু মাইতি নামে ওই বন্দিকে মোটর বাইক চুরির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল কাঁথি থানার পুলিশ। তার বাড়ি আমতলিয়া গ্রামে। এদিন সাইরেন বাজতে শুরু করার পর দিব্যেন্দু জেলের প্রথম তলে জলের ট্যাঙ্কের কাছে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। এ দিনই তাকে মেদিনীপুরে সেন্ট্রাল জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

প্রহরীদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে দিব্যেন্দু সেল থেকে বেরিয়ে ছাদের জল ট্যাঙ্ক পর্যন্ত চলে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেল কর্তৃপক্ষও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে কর্ণ পালানোর পর কাঁথি উপ-সংশোধনাগারে সাইরেন বসানো হয়। যদিও এখনও জেলে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement