মমতার ধমকেই তৎপরতা

বেআইনি খাদানের খোঁজ শুরু

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বেআইনি খাদান বন্ধে ফের অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জেলায় ঠিক কত বেআইনি খাদান রয়েছে, সেই খোঁজও শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে তৎপর হল ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন।

Advertisement

কেমন সেই তৎপরতা? জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বেআইনি খাদান বন্ধে ফের অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জেলায় ঠিক কত বেআইনি খাদান রয়েছে, সেই খোঁজও শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। ঘটনাচক্রে এ দিনই মেদিনীপুরে গিয়ে বৈঠক করেছেন রাজ্যের অতিরিক্ত ভূমিলেখ্য ও জরিপ অধিকর্তা অজয় সন্যামত।

সোমবার ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার বেআইনি খাদানের প্রসঙ্গ নিজেই তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বৈঠক কার্যত শুরুই করেন ঝাড়গ্রামে বেআইনি বালি ও পাথর খাদান চলছে কি না, তা জানতে চেয়ে। তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে শুরু করেছিলেন জেলাশাসক আয়েষা রানি। কিন্তু তাঁকে এক রকম থামিয়ে দিয়েই বেআইনি খাদান বন্ধে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের কথাও বলেছিলেন তিনি।

Advertisement

জেলাশাসক আয়েষা রানিও মানছেন, ফের অভিযান শুরু হবে। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘অভিযান হয়। কিছু খাদান বন্ধও করা হয়েছে। আবার অভিযান হবে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অমিতাভ দত্তকে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন জেলাশাসক। আয়েষার কথায়, ‘‘বেআইনি খাদান চলার অভিযোগ এলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলায় বৈধ বালি খাদানের সংখ্যা ১১২। আর বেআইনি খাদান? অসমর্থিত এক সূত্রের খবর, সংখ্যাটা বৈধ খাদানের চেয়ে বেশি।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ব্লক ধরে ধরে বেআইনি খাদানের খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা। এ দিন মেদিনীপুরে রাজ্যের অতিরিক্ত ভূমিলেখ্য ও জরিপ অধিকর্তার বৈঠকে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারী সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকেরা।

প্রশাসন সূত্রের খবর, এই বৈঠকেও বেআইনি খাদান বন্ধে ব্লকগুলোকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই জেলায় বৈধ খাদানের সংখ্যা ৭৪। এখানেও বেআইনি খাদান রয়েছে বলেও অভিযোগ।

ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই জেলা প্রশাসনেরই দাবি, খাদান থেকে রাজস্ব আদায় বাড়ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত এক বছরে ঝাড়গ্রামে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১০ কোটি টাকারও বেশি। আর পশ্চিম মেদিনীপুরে সংখ্যাটা প্রায় এক কোটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement