পথে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
করোনা কালে স্কুল ছুটি। তবু স্কুলের ইউনিফর্ম পরেই বিদ্যালয়ে হাজির হল পড়ুয়ারা। রবিবার রাতে তাদের প্রিয় শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার পথে নামল তারা।
এদিন জেনকাপুর এলাকায় মিছিল করে স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা। গত রবিবার রাতে দাঁতনের জেনকাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক সূর্যকান্ত বিশ্বাসের (৩৪) দেহ সিলিং থেকে গামছার ফাঁসে ঝুলতে দেখা যায়। প্রিয় শিক্ষকের অস্বাভাবিক এই মৃত্যু ছাত্র ছাত্রী থেকে সহ শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দা মেনে নিতে পারেননি। ঘটনার পর স্ত্রীয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তারা। মৃত্যুর কারণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এ দিন স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ও কয়েকজন শিক্ষক বুকে কালো ব্যাজ পরে শোক মিছিল করে। প্রিয় শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দোষীদের শাস্তির দাবি লেখা পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে মিছিল করেছে তারা। স্কুলের এক পড়ুয়ার কথায়,‘‘স্কুলে সবার প্রিয় ছিলেন বাংলার শিক্ষক। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আমরা চাই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীরা শাস্তি পাক।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে বছরখানেক আগে থেকে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শিক্ষক পত্নী। সেই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সমস্যা বাড়ছিল। ভাড়া বাড়ি বদলালেও সমস্যা মেটেনি। তার পরেই এই ঘটনায় প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধীরেন জানা বলেন, ‘‘কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র এদিনের কর্মসূচির কথা জানিয়েছিল। কী করেছে জানি না। বাংলার শিক্ষক সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। ছাত্ররা তাদের আবেগ থেকে হয়ত এই কাজ করেছে।’’