টাকা নেই, সাফাই পুরপ্রধানের

স্থায়ী সমাধান নেই, ভরসা নালা সংস্কার

বন্যাপ্রবণ ঘাটালে জোরাল বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় শহরের ১২টি ওয়ার্ড। ওই সব ওয়ার্ডগুলিতে নিকাশি নালার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অল্প বৃষ্টিতেই নালা উপচে নোংরা থইথই করে শহরের রাস্তায়। খেলার মাঠ ভেসে যায় কাদা-জলে। অন্য পাঁচটি ওয়ার্ডে বাঁধ ভেঙে বন্যার ইতিহাস রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০২:৫৩
Share:

কাজ: নালা থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে আগাছা, আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র

বৃষ্টি নামতেই কাজ শুরু হয়েছে নালা সংস্কারের। মাটি কেটে গভীরতা বাড়ানো বা পাম্প বসিয়ে জল ছেঁচে ফেলার প্রস্তুতি চলছে ঘাটাল জুড়ে। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছরের এই গতানুগতিক কাজে আদতে কোনও লাভই হয় না। তেমন জোরদার বৃষ্টি নামলে জল জমবেই। তাঁদের দাবি, আশু সংস্কার দরকার এলাকার ছোট-বড় সব ধরনের নিকাশি নালার।

Advertisement

যদিও পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ বলেন, “এত বড় কাজ তো পুরসভার নিজস্ব তহবিলের টাকায় সম্ভব নয়। আমরা নিরুপায়। তবে একটু-আধটু সংস্কার করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” তাঁর দাবি, ঘাটাল শহরের নিকাশি নালাগুলিকে পাকা ও গভীর করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। নিকাশি সমস্যা সমাধানের জন্য টাকা চেয়ে আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু পুর দফতর টাকা বরাদ্দ না-করায় কাজ থমকে রয়েছে।

বন্যাপ্রবণ ঘাটালে জোরাল বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় শহরের ১২টি ওয়ার্ড। ওই সব ওয়ার্ডগুলিতে নিকাশি নালার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অল্প বৃষ্টিতেই নালা উপচে নোংরা থইথই করে শহরের রাস্তায়। খেলার মাঠ ভেসে যায় কাদা-জলে। অন্য পাঁচটি ওয়ার্ডে বাঁধ ভেঙে বন্যার ইতিহাস রয়েছে। তবে মানুষ ভয় পান। এই পাঁচটি ওয়ার্ডই আবার প্রশাসনিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ কোনও এলাকাতেই নিয়মিত নিকাশি নালা পরিষ্কার করে না পুরসভা। এখানে সব নালাই কাঁচা। আবর্জনা জমে প্রায় বুজে গিয়েছে একাধিক নালা। নজরদারি এবং সচেতনতার অভাবে গৃহস্থালি ও দোকানের বর্জ্য গিয়ে পড়ে নালায়। সামান্য বৃষ্টি হলেই কুশপাতা, গোবিন্দপুর, কোন্নগরে মজা নালা উপচে হাঁটুসমান জল দাঁড়িয়ে যায় রাস্তায়। নোংরা জল ঢুকে যায় বাড়ির ভিতরও। কুশপাতার এক বাসিন্দার অভিযোগ, “নালার অবস্থা তো খারাপই। তার উপর নালা বুজিয়ে বাড়ি, দোকানঘর তৈরি হচ্ছে শহরে। পুরসভা উদাসীন।”

পুরপ্রধানের দাবি, “আর্থিক অভাবেই নিকাশি সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। তবে চলতি বর্ষায় যাতে জল না জমে সে জন্য নালাগুলি সংস্কার করা হচ্ছে।’’ ঘাটাল পুরসভার এক সিনিয়র ইঞ্জিনিয়র শুভাশিস মণ্ডল বলেন, “নিকাশি নালায় জমা জল পাম্পের সাহায্যে শিলাবতী নদীতে ফেলার চেষ্টা করছি। এ জন্য ছ’টি পাম্পও কেনা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement