দূরপাল্লার পাঁচটি ট্রেনের স্টপের দাবিতে রেল-কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আড়াই ঘন্টা ‘রেল রোকো’র ডাক দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম শহরের সমাজকর্মী বিষ্ণুপদ রায়। দাবি সমর্থন করে ১৮টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা ‘রেল রোকো’ কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার জন্য শনিবার সাতসকালে হাজির হয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। তবে এ দিন কোনও অবরোধ করা হয়নি। ঝাড়গ্রাম স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আরপিএফের অফিসে বিষ্ণুপদবাবু ও ১৮টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের আলোচনায় ডাকা হয়। খড়্গপুর রেল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্মাশিয়্যাল ম্যানেজার এ থাঙ্গাবালন লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানান, দাবিগুলি খড়্গপুর ডিআরএমের মাধ্যমে রেল বোর্ডের বৈঠকে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আড়াই ঘন্টা রেল রোকো কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য গোটা স্টেশন চত্বর রেল পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। আন্দোলন কারীদের স্টেশনের ভিতরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। রেল প্রশাসন ও রেল পুলিশের আধিকারিকরা বিষ্ণুপদবাবুদের জানিয়ে দেন, আইন ভেঙে স্টেশনে ঢোকার চেষ্টা হলে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে। এই নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রেল প্রশাসনের আধিকারিকদের তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়। পাঁচটি দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনের স্টপের দাবির পাশাপাশি, ঝাড়গ্রাম-হাওড়া লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোরও দাবি করেছেন বিষ্ণুপদবাবুরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আলোচনায় সমস্যা মেটে।
এ দিন আলোচনায় হাজির ছিলেন খড়্গপুর রেল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্মাশিয়্যাল ম্যানেজার এ থাঙ্গাবালন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার (শালিমার) সুনীলকুমার টোপ্পো, ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো, ঝাড়গ্রামের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অরিন্দ্রজিৎ দেবশর্মা, খড়্গপুর রেল পুলিশের ডেপুটি সুপার দিলীপ পাল প্রমুখ। ঝাড়গ্রামের উপপুরপ্রধান শিউলি-সিংহ-সহ শহরের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজন।