ডিজে নিয়ে ‘ভিন্ন নিয়মে’ ক্ষোভ

কালী পুজোয় কাঁথি শহরের মাইক ব্যবসায়ীদের দু’টোর বেশি সাউন্ড বক্স ভাড়া না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৫৯
Share:

এই ডিজে নিয়েই বিতর্ক।

দুই পুজো, দুই ভিন্ন ‘নিয়ম’। তাতেই চটেছে কাঁথির কালী পুজো উদ্যোক্তারা।

Advertisement

কালী পুজোয় কাঁথি শহরের মাইক ব্যবসায়ীদের দু’টোর বেশি সাউন্ড বক্স ভাড়া না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের চাপাতলায় লক্ষ্মী পুজোর বিসর্জনে দেদার সাউন্ড বক্স ব্যবহার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন কালী পুজো কমিটি এবং মাইক ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মী পুজোর বিসর্জন হয় চাপাতলাতে। সেখানে ছোট, বড় মিলিয়ে ৬০টির বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। অভিযোগ, প্রায় সব পুজো উদ্যোক্তাই নিয়ম ভেঙে ডিজে মেশিন এবং একাধিক সাউন্ড বক্স ব্যবহার করেছেন। বিসর্জন দেখতে আসা স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, সাউন্ড বক্সের উৎপাত এতটাই তীব্র ছিল, আশেপাশের মাটির ঘরবাড়িও কেঁপে উঠেছে। এমনকী, বিকট শব্দের চোটে কেউ কেউ বিসর্জন না দেখেই বাড়ি ফিরে আসেন।

Advertisement

গত কয়েক দশক ধরে দেশপ্রাণ ব্লকের চাপাতলাতে লক্ষ্মীপুজো হয়ে আসছে। আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম মেতে ওঠে পুজোয়। তারপর সব পুজো উদ্যোক্তা মিলিত হয়ে চাপাতলায় প্রতিমা বিসর্জন করেন। আর সেখানেই উদ্যোক্তারা সাউন্ড বক্স নিয়ে শব্দের প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন বলে অভিযোগ। এ বছর লক্ষ্মীপুজো শুরু হওয়ার আগে থেকে ওই এলাকায় সাউন্ড বক্স ব্যবহার নিয়ে কঠোর হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন এভাবে শব্দদূষণ ঠেকানো গেল না, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়েরা।

পুলিশ প্রশাসন সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে পুজো উদ্যোক্তাদের চাপের কাছে পিছু হটে তারা। পুজো কমিটিরা নিজেদের ঐতিহ্যের কথা বলে সাউন্ড বক্স ব্যবহারে অনড় থাকে। এরপর আর ওই এলাকায় অভিযান চালাতে পারেনি প্রশাসন। এর পরেই কালী পুজো উদ্যোক্তাদের প্রশ্ন, কঠোর মনোভাব কি শুধু তাঁদের জন্যই! এ ব্যাপারে কাঁথি শহরের রাজাবাজার এলাকার এক কালী পুজো কমিটির সম্পাদক দেবকুমার করণ বলেন, ‘‘শব্দবিধি সব উৎসবে এক হওয়া উচিত।’’

কাঁথির এসডিপিও অভিষেক চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত চাপাতলায় শব্দদূষণ নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে মঙ্গলবার বিধি ভেঙে যাঁরা সাউন্ড বক্স ব্যবহার করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপের প্রক্রিয়া চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement