পটাশপুরে হামলার প্রতিবাদে মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী মাখনলাল নায়েক-সহ দলীয় নেতাদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু ওই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।
অথচ ঘটনার পরই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মী মিলিয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মাখনলালবাবু। তৃণমূলের তরফেও তাঁদের দলের কর্মী- সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয় বাম-কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের ধরতে তদন্ত চলছে।’’
বাম-কংগ্রেস নেতাদের উপর আক্রমণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে শনি বার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহর, চণ্ডীপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেন বাম-কংগ্রেস জোট কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, ভোট গ্রহণের পর থেকে পটাশপুরের নৈপুর এলাকায় বিভিন্ন বুথে পোলিং এজেন্ট হওয়া দলীয় কর্মীদের মারধর, হুমকি-সহ আক্রমণ করছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকররা। আক্রান্ত ওই কর্মীদের বাড়িতে দেখা করতে শুক্রবার সকালে নৈপুরের বেলদা গ্রামে গিয়েছিলেন পটাশপুর বিধানসভার জোট প্রার্থী মাখনলাল নায়েক, সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য সুব্রত পণ্ডা, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর বল্লভ সহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
বেলদা গ্রামে কয়েকজন আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করার পর বাম -কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ট্রেকার ও মোটরবাইকে চেপে স্থানীয় চকগোপাল গ্রামে যাওয়ার পথে বেলদা দোলমোড় এলাকায় তৃণমূল সমর্থকরা জড়ো হয়ে তাঁদের গাড়ি আটকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে জোট প্রার্থী মাখনলাল নায়েক সহ বাম-কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা কমবেশী আহত হন। তাঁদের গাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।