TMC Party office

সরকারি জায়গায় তৃণমূলের কার্যালয়! প্রতিবাদে ব্যানার

কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষ্ণনগর গ্রামে পাকা রাস্তার ধারে সেচ দফতরের জায়গায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৮
Share:

কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে পড়েছে ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে সরকারি জায়গায় বেআইনি দখল উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। অথচ, কোলাঘাটের একটি গ্রামে সেচ দফতরের জায়গা দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। এর ফলে রাস্তার পাশে থাকা জমিতে নামতে পারছেন না স্থানীয় এক কৃষকের পরিবারের লোকজন। প্রতিবাদে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে একাধিক ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন ওই কৃষকের পরিবার ও স্থানীয় মানুষজন।

Advertisement

অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে কোলাঘাটের তৃণমূল নেতা অসীম মাজি বলেন, ‘‘কৃষ্ণনগর গ্রামে আমাদের দলীয় কার্যালয়টি সেচ দফতরের জায়গার উপর রয়েছে। পার্টি অফিসের জন্য যদি কারও যাতায়াতের অসুবিধা হয় তাহলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।"

কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষ্ণনগর গ্রামে পাকা রাস্তার ধারে সেচ দফতরের জায়গায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। হরিপদ মাইতি নামে স্থানীয় এক কৃষকের দাবি, যে জায়গায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তৈরি হয়েছে ঠিক তার পেছনে তাঁর জমি রয়েছে। পার্টি অফিস তৈরি হওয়ায় তিনি তাঁর জমিতে নামতে পারছেন না বলে অভিযোগ। হরিপদ মাইতির ছেলে শঙ্কর মাইতি বাবার জমিতে বাড়ি তৈরি করার জন্য জমির শ্রেণি বদলের আবেদন করেন। কিন্তু জমিতে যাওয়ার রাস্তা না থাকায় জমিটি বাস্তুতে রূপান্তর করা যায়নি বলে অভিযোগ। হরিপদ মাইতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেচ দফতর একবার পার্টি অফিসটি ভেঙে দেয়। কিন্তু ফের নতুন করে আবার ওই জায়গায় পার্টি অফিস তৈরি করে তৃণমূল।

Advertisement

তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রণয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সরকারি জায়গায় ওই পার্টি অফিসটি তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী কৃষক হরিপদ মাইতি বলেন,"রাস্তার ধারেই আমার জমি। তৃণমূল জোর করে আমার জমিতে নামার রাস্তা দখল করে পার্টি অফিস করেছে। একবার সেচ দফতর ওই পার্টি অফিস ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু নতুন করে আবার ওই একই জায়গায় পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে আমার জমিতে যাওয়ার রাস্তা দখলমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement