লোডশেডিং,বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ তেমাথানির সাব স্টেশনে

রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের তেমাথানি সাব-স্টেশনে। সকাল থেকে তেমাথানি এলাকায় ঘন-ঘন লোডশেডিং শুরু হতেই ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ০১:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি

সাব স্টেশনের এক ফিডার থেকে ব্লকের একাংশ ও অন্য ব্লকের আর একটি অংশ সংযুক্ত রয়েছে। মাঝে রয়েছে মস্ত বাজার। বছর কয়েক ধরেই এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা চলছিল। এ বার অসহ্য গরমেও দফায় দফায় লোডশেডিং চলায় ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা। এ বার তাঁরা সাব-স্টেশনে গিয়ে গোটা ব্লকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন।

Advertisement

রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের তেমাথানি সাব-স্টেশনে। সকাল থেকে তেমাথানি এলাকায় ঘন-ঘন লোডশেডিং শুরু হতেই ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে সাব-স্টেশন ঘেরাও করেন তাঁরা। সাব স্টেশনের কর্মীদের চাপ দিয়ে গোটা ব্লকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, তেমাথানির মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজার এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যায় ব্যবসা চালানো দায় হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানিয়েও সুফল মেলেনি। গত এক মাসে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে। দিনের মধ্যে প্রায় ১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। দীর্ঘদিন ধরে তেমাথানির জন্য আলাদা ফিডারের দাবি রয়েছে। তাও মানা হয়নি।

স্থানীয় ছাপাখানার মালিক দেবাশিস মান্না বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে কাজ করতে পারছি না। আগেও সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন সারাদিন লোডশেডিং চলছে।” কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মালিক সুকুমার দাসেরও বক্তব্য, “বিদ্যুৎ না থাকায় জল সরবরাহ বন্ধ থাকছে। গরমে বয়স্কদের হাসফাঁস অবস্থা। এর প্রতিকার চাই।”

Advertisement

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, তেমাথানি সাব-স্টেশনের একটি ফিডারের সঙ্গে তেমাথানি সংলগ্ন গ্রামীণ এলাকা সংযুক্ত রয়েছে। খড়্গপুর-২ ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামেও একই সংযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর ফলে যে কোনও এলাকায় তার ছিঁড়ে যাওয়া থেকে ট্রান্সফরমার মেরামতির কাজে ফিডারে যুক্ত সমগ্র এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তার জেরে বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে তেমাথানির বাসিন্দাদের।

এ দিন সকালে দফায় দফায় লোডশেডিং চলায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ দফতরে ঘেরাও-বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভে সামিল হন উপ-প্রধান বিনোদ অগ্রবালও। তিনি বলেন, “আমি নিজেও ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সংযোগ আলাদা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও হেলদোল নেই।”

এ দিন বিক্ষোভের জেরে প্রায় তিনঘন্টা সবং ব্লকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে শেষে খড়্গপুরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তারপরই ঘেরাও বিক্ষোভ তুলে নেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় মহাপাত্র বলেন, “আসলে একটি ফিডারে বিস্তীর্ণ এলাকা সংযুক্ত থাকায় কোথাও কোনও সমস্যা হলেই
গোটা এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। ওঁদের দাবি আলাদা ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। সেটা তো একদিনে সম্ভব নয়। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement