ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ সাত মাস বাদে উন্নয়ন শুরু হল খেজুরির বীরবন্দরে। বৃহস্পতিবার সেখানের আলাইচক ৯০ নম্বর বুথে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ৭০ জন স্থানীয় জব কার্ড হোল্ডারকে সেই কাজে লাগানো হয়েছে বলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
গত লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে খেজুরির বীরবন্দর এলাকা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কারণে অশান্ত। একাধিক বার তৃণমূল-বিজেপি’র মধ্যে সংঘর্ষেরও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি কোনও সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও এলাকায় রাজনৈতিক ভাবে চাপা উত্তেজনা ছিলই। পাশাপাশি, বিজেপি কর্মীদের বাধায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্তোষ চৌহান দফতরে ঢুকতে পারছিলেন না বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
রাজনৈতিক অশান্তিতে এলাকার উন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত জুন থেকে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ৬৫ লক্ষ টাকা পড়ে পঞ্চায়েতের তহবিলে। শুধু ১০০ দিনের প্রকল্পে আটকে রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার কাজ।
গত ডিসেম্বরে বীরবন্দর এলাকায় গিয়ে সভা করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। তারপর থেকে শাসক দলের স্থানীয় নেতারা সক্রিয় হতে শুরু করেন। এর পরেই গত ১২ জানুয়ারি থেকে ওই এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন বাদে উন্নয়নের কাজ শুরু হওয়ার বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্তোষ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মত এ দিন ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হল। ওই কাজের জন্য আগেই গ্রাম সংসদ সভায় প্রস্তাব গৃহীত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা স্থগিত রাখা হয়েছিল।’’
বিজেপি এলাকায় উন্নয়ন আটকে রেখেছিল বলে তৃণমূল যে অভিযোগ করেছে, তা নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি (কাঁথি) অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল ইচ্ছাকৃত ভাবে ওখানে উন্নয়ন করেনি। এখন কাটমানি খাওয়ার জন্য এইসব অভিযোগ আনছে। ওদের স্বরূপ সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে।’’