আইআইটি-র গেটের সামনে অধ্যাপক-কর্মীদের জমায়েত। নিজস্ব চিত্র
করোনার সময় থেকে বন্ধ হয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানে একটি গেট খোলার দাবিতে পথে বসলেন খড়্গপুর আইআইটির অধ্যাপকরা। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর আইআইটির প্রেমবাজার সংলগ্ন মূল গেটে এই বিক্ষোভ হয়েছে।
সাধারণত আইআইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও আন্দোলন সংগঠিত করার সাহস দেখায় না অধ্যাপক-কর্মীরা। তবে এ দিন অধ্যাপকদের সঙ্গে ওই অবস্থানে শামিল হন প্রতিষ্ঠানের কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও।
করোনা সংক্রমণের সময় আইআইটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের মূল গেট ছাড়া সব গেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে বাকি গেট খোলা হলেও প্রেমবাজারের গেটটি খোলা হয়নি।
ফলে, আইআইটির সঙ্গে প্রেমবাজার, সোসাইটি এলাকার সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। অথচ এই প্রেমবাজার সোসাইটি এলাকাতেই বসবাস করেন বহু অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, কর্মীরা। ওই সব এলাকা থেকে আসেন আইআইটির অধ্যাপকদের আবাসনে কর্মরত পরিচারিকা, মালিরা। ঘুরপথে তাঁদের নানা কাজে আইআইটিতে পৌঁছতে হচ্ছে। তাই ওই গেট খোলার দাবি দীর্ঘদিনের।
তা পূরণ না হওয়ায় এ দিন প্রেমবাজার গেটের সামনে অবস্থানে বসে আইআইটির শিক্ষক সংগঠন। সংগঠনের সম্পাদক ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক করবী বিশ্বাস বলেন, “শুধু আমরা নয়, আমাদের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, অধ্যাপক, ছাত্ররা পর্যন্ত এই অবস্থানে শামিল হয়েছেন। এখন যখন সবকিছু স্বাভাবিক তাহলে এই গেট কেন খোলা হবে না? কর্তৃপক্ষ যে সুরক্ষার অজুহাত দিচ্ছে তা ভিত্তিহীন। তাই আমরা প্রতীকী অবস্থান করে যৌথ কমিটি গড়ার পথে এগোচ্ছি। এর পরেও গেট না খুললে লাগাতার অবস্থান করব।”
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আইআইটির রেজিস্ট্রার তমাল নাথ বলেন, “এ ভাবে অধ্যাপক-কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবস্থান করতে পারেন কি না জানা নেই। কোন অনুমতিতে তাঁরা এ সব করছেন সেটাও জানি না। তবে গেটের সঙ্গে নিশ্চয়ই সুরক্ষার কারণ জড়িয়ে রয়েছে। সেখানে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।”