চলছে চোলাই তৈরি। নিজস্ব চিত্র।
চোলাই খেয়ে মৃত্যু মিছিল এ রাজ্যে নতুন নয়। এমন মৃত্যুর নবতম সংযোজন গলসি। অবশ্য সেই মৃত্যু মিছিলের পরও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে এখনও প্রকাশ্যেই চলছে চোলাই মদ তৈরি ও বিক্রি। সম্প্রতি ঘাটাল এবং দাসপুরের একাধিক গ্রামে গিয়ে তার প্রমাণও মিলল।
আবগারি দফতর সূত্রের খবর, গলসির ঘটনার পরেই চোলাইয়ের বিরুদ্ধে ধড়পাকড় শুরু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আবগারি দফতর। কিন্তু তারপরও নজরে এল, দাসপুরের বাসুদেবপুরের এক গ্রামে মাটির উনানে বড় হাঁড়িতে তৈরি হচ্ছে চোলাই। এগিয়ে এলেন কয়েকজন মহিলা। বললেন, “আবার কেন এসেছেন। ক’দিন আগেই তো মাসোহারা দিয়ে এলাম।” কিন্তু প্রতিবেদকের পরিচয় শুনেই এক মহিলা গলা উঁচিয়ে বললেন, “আপনারা যতই খবর করুন, কিছুই হবে না। পুলিশ ও আবগারি বাবুরা সবই জানে।”
এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, চোলাই মখেয়ে মৃত্যু বা জটিল রোগের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এ রাজ্যে নতুন নয়। তা সত্ত্বেও কেন পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না এই কারবার। কেনই বা প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন চোলাই তৈরি হচ্ছে। ক্রমশ বাড়ছে চোলাই-এর ঠেকের সংখ্যাও। প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাটালের এক আধিকারিকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?’’
তবে জেলার আবগারি দফতরের অতিরিক্ত সুপার বাসুদেব সরকার বলেন, “জেলা জুড়েই অভিযান চলছে। ইতিমধ্যেই দাঁতন, কেশিয়াড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার লিটার চোলাই নষ্ট করা হয়েছে। অভিযান চলবে।” কাঁথি মহকুমার কাঁথি, মারিশদা রামনগর ও দিঘা থানার পুলিশ ও আবগারি দফতরের পক্ষ থেকে বেআইনি মদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয়। পূর্বের পুলিশও জানিয়েছে, চোলাই তৈরি রুখতে এমন অভিযান চলবে।