মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র।
মোটের উপর তৃণমূলের প্রত্যাশিত প্রার্থী তালিকাই হল পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম দুই পুরসভা মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে। দুই শহরেই দেখা যাচ্ছে নতুন- পুরনোয় ভারসাম্যের ছবি। কিছু পুরনো মুখ বাদ পড়েছে। কিছু নতুন মুখ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। মেদিনীপুরে প্রার্থী বাছাইয়ে টিম পিকে-র ‘প্রেসক্রিপশন’ অনেকটাই মান্যতা পেয়েছে। দলের কাছে ওই টিমের পরামর্শ অনুযায়ী তৃণমূলের ১২ জন বিদায়ী কাউন্সিলরের টিকিট অনিশ্চিত ছিল। দেখা যাচ্ছে, টিকিট ফের না- পাওয়ার সেই সংখ্যাটা ১২-ই রয়েছে। মেদিনীপুরের বিদায়ী পুরবোর্ডের শীর্ষ পদাধিকারীদের একজন বাদে কেউই টিকিট পাননি। শহরে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর ছিল ১৭। এঁদের মধ্যে ১২ জনই টিকিট পেলেন না।
বিদায়ী পুরবোর্ডের পুরপ্রধান প্রণব বসু প্রয়াত হয়েছেন। উপ-পুরপ্রধান ছিলেন জিতেন্দ্রনাথ দাস। তিনিও আর প্রার্থী হননি। তিন পুর-পারিষদের (সিআইসি) মধ্যে পূর্তের দায়িত্বে ছিলেন অনিল দলবেরা, জঞ্জালের দায়িত্বে শিপ্রা মণ্ডল, জলের দায়িত্বে মৌ রায়। তিনজনের মধ্যে শুধু মৌ টিকিট পেয়েছেন তাঁর ৫ নম্বর ওয়ার্ডেই। প্রত্যাশিতভাবেই ১৮ নম্বরে প্রার্থী হয়েছেন পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর বিদায়ী চেয়ারম্যান সৌমেন খান, ১৯ নম্বরে প্রার্থী দলের শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব। ২২ নম্বরে প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার স্ত্রী মৌসুমী হাজরা। ২১ নম্বরে প্রার্থী গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। আশিস শহরের প্রাক্তন উপপুরপ্রধানও। ২ নম্বরের বিদায়ী কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী বা তাঁর স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী- কারওরই টিকিট জোটেনি। এখানে দলের প্রার্থী মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ নম্বরে বিদায়ী কাউন্সিলর কল্পনা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী সুসময় মুখোপাধ্যায়। ২৫ নম্বরে বিদায়ী কাউন্সিলর পূর্ণিমা পড়িয়ার স্বামী সত্য পড়িয়া। তালিকায় চমকও রয়েছে। ৮ নম্বরে প্রার্থী ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি।
খড়্গপুরের প্রার্থী তালিকায় শহরের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে দু'জন বাদে বাকিদের ঠাঁই মিলেছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন পুর- প্রশাসকমণ্ডলীর বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার, ৩৩ নম্বরে প্রাক্তন পুরপ্রধান জওহরলাল পাল, ২৪ নম্বরে প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তুষার চৌধুরী। টিকিট জোটেনি প্রাক্তন পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডের ও বিদায়ী কাউন্সিলর দেবাশিস চৌধুরীর। ২৮ নম্বরে রবিশঙ্করের স্ত্রী রিতা পাণ্ডে অবশ্য প্রার্থী হয়েছেন। টিকিট পাননি পূজা নায়ডুও। পূজা শ্রীনু নায়ডুর স্ত্রী।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে শুক্রবার বিকেলে। এদিন দুপুরে জেলা নির্বাচন দফতরে যান বিধায়ক তথা জেলা সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি। শুরুতে দলের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। রাতে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, রাতে প্রকাশিত এই তালিকাই চূড়ান্ত। দুই তালিকা ঘিরে দলের অনেকের মধ্যে ধন্দও দেখা দেয়।