পথের ব্যথা ভাঙা সেতু

এই সেতু দিয়ে যাওয়ার পথেই পড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়ার বাড়ি। এই সেতু দিয়েই একদিন তাঁর বাড়ী এসেছিলেন মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি। সুশীলবাবুর মৃত্যুর পর তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

পার্থপ্রতিম দাস

তমলুক শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১১
Share:

বেহাল সেতু। — নিজস্ব চিত্র।

এই সেতু দিয়ে যাওয়ার পথেই পড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়ার বাড়ি। এই সেতু দিয়েই একদিন তাঁর বাড়ী এসেছিলেন মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি। সুশীলবাবুর মৃত্যুর পর তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই রাস্তা দিয়েই। অথচ নন্দকুমার ব্লকের তাড়াগেড়িয়া ও টিকারামপুর গ্রামের সংযোগকারী সেই সেতুই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালে পঞ্চায়েত থেকে ৪২০০০ টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল এই সেতু। দীর্ঘ ৩৬ বছরে সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণে একটি টাকাও খরচ করা হয় বলে অভিযোগ। কালের নিয়মে সেতুটির তলায় কংক্রিটের ঢালাই ফেটে, মরচে পড়া রডের খাঁচা খুলে ঝুলছে। সেতুটির পাশে সরু ইঁটের গাঁথনির রেলিং থেকে ইঁট খুলে গিয়েছে। অথচ এমন সেতু দিয়েই নিত্য যাতায়াত গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দার। তাড়াগেড়িয়া, টিকারামপুর, কাঞ্চনপুর, ঘাটুয়াল, মীরপুর, পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের শহরে যাওয়ার ভরসা এই সেতুই। ব্যবত্তারহাট, জ্ঞানদাময়ী, শ্রীকৃষ্ণপুর তিনটি হাইস্কুল ছাড়াও এই পাঁচটি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির পড়ুয়ারাও যাতায়াত করে এই সেতু দিয়ে।

ভাঙা সেতু দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসছিলেন ঘাটুয়াল গ্রামের ভাগবত সিং। বলেন, ‘‘ভোট আসে ভোট যায়। দু’একটা প্রাণ না গেলে প্রশাসনের টনক নড়বে না।’’ সেতুর কথা শুনতেই রীতিমতো উত্তেজিত টিকারামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুদীপ রায়। তাঁ পাল্টা প্রশ্ন, “সেতুর তলাটা দেখেছেন.? যে কোনওদিন ভেঙে পড়বে। স্কুলের বাচ্চাগুলো না চাপা পড়ে, আতঙ্কে থাকি।”

Advertisement

কংগ্রেসের নন্দকুমার ব্লক সভাপতি অরূপ ভৌমিক বলেন, ‘‘একাধিকবার ওই সেতু সারানোর জন্য স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। কোনও ফল হয়নি।’’ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সাধন মাইতির সাফাই, ‘‘জানি সেতুটি বিপজ্জনক। কিন্তু সেতু সারাইয়ে যে পরিমাণ টাকা লাগবে সেটা পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া সম্ভব নয়।” নন্দকুমারের বিডিও দিব্যা লোগনাথন বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। এই ধরনের সেতু যদি থেকে থাকে, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement