ভাঙাচোরা সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র।
দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। মাথার উপরে ত্রিপলের ছাউনি। কোলাঘাটের রায়চক ক্লাব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এমন দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
কোলাঘাটের খন্যাডিহি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রায়চক ক্লাব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে উপভোক্তার সংখ্যা ৪৭ জন। কেন্দ্রটি ইটের দেওয়ালের ওপর টিনের ছাউনি দেওয়া ছিল। তিন বছর আগে থেকে কেন্দ্রটির দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়তে শুরু করে। ফেটে যায় ইটের পিলারগুলিও। টিনের ছাউনি ফুটো হয়ে গিয়ে জল পড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিনের ভাঙা ছাউনির ওপর ত্রিপল চাপিয়ে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ওই ভগ্নপ্রায় কেন্দ্রেই চলত পঠন-পাঠন ও রান্নার কাজ। আর করোনা কালে এখান থেকেই বিলি করা হয় শিশুদের বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি মেরামতির জন্য কোলাঘাট ব্লক প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন জানানো হলেও সুরাহা হয়নি। মধুসূদন মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘যেভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির দেওয়াল ভেঙে পড়ছে, ছাউনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাতে আগামীদিনে শিশুদের ওখানে পাঠানো সম্ভব নয়। আমরা চাই প্রশাসন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দ্রুত মেরামত করুক।’’
পাঁশকুড়া-২ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক প্রীতিলতা মণ্ডল এ ব্যাপারে বলছেন, ‘‘সাধারণত গ্রামোন্নয়ন তহবিল থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ, মেরামত ইত্যাদির কাজ হয়ে থাকে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি পুনর্নির্মানের জন্য বিডিও, স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন ভবনটি মেরামত করার কোনও উদ্যোগ না নিলে আমরা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারি।’’ এ বিষয়ে কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডলের জবাব, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’