কটূ: প্রতিদিন নাক চেপেই যাতায়াত করতে হয় স্কুলের পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র
স্কুলের সামনে পুকুরের ধারে জমে থাকা গোবর থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ। বর্ষায় বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রবও। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে পড়ুয়াদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। বারবার কাউন্সিলরকে সমস্যার কথা জানানো হলেও সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ। এ বার পুরপ্রধানের কাছে অভিযোগ জানালেন খড়্গপুরের ইন্দা কৃষ্ণলাল শিক্ষানিকেতনের প্রধান শিক্ষক।
শনিবার খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান প্রধান শিক্ষক পার্থ ঘোষ। অবিলম্বে গোবর ফেলা ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করার জন্য পুরপ্রধানের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পার্থবাবু।
দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলের বাইরে বুড়িপুকুরের ধারে ফেলা হচ্ছে গোবর। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় সেই গোবর থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ। মশা-মাছির উপদ্রবে ক্লাস করাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ গোবর ওই পুকুরের ধারে ফেলা হচ্ছে। পুকুরেও ফেলা হচ্ছে গোবর। মাছের খাবারের জন্য ওই গোবর ফেলা হচ্ছে বলে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অপর্ণা ঘোষকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। পুকুরটি নিজেদের না হওয়ায় সমস্যা সমাধানে নিরুপায় স্কুল কর্তৃপক্ষও। তাই এ বার পুরপ্রধানের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থবাবু বলেন, “দিনের পর দিন মাছের খাদ্য হিসাবে বিপুল পরিমাণ গোবর স্কুল সংলগ্ন এই পুকুরে ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধে আমরা ক্লাস করাতে পারছি না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছেলেমেয়েরাও স্কুলে ক্লাস করতে চাইছে না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কাউন্সিলর হয়তো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সুফল পাইনি। তাই পুরপ্রধানকে লিখিত অভিযোগ করেছি।”
স্থানীয় কাউন্সিলরকেও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে স্কুল সূত্রে খবর। স্থানীয় কাউন্সিলর অপর্ণাদেবী বলেন, “ওই পুকুরের মালিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু উনি গোবর ফেলার কথা অস্বীকার করছেন। আমি পুরপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করব।” এ বিষয়ে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “স্কুলের সামনে এ ভাবে গোবর ফেলায় দূষণ ছড়াচ্ছে। গোবর যাতে না ফেলা হয় সে জন্য ব্যবস্থা নিতে আমি নিশ্চয় কাউন্সিলরকে বলব। প্রয়োজনে জঞ্জাল বিভাগের পরিদর্শককে এলাকায় পাঠাব।”