চন্দ্রকোণায় রাজনৈতিক উত্তেজনা— নিজস্ব চিত্র।
দলবদলের পর রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই বিজেপি-তে যোগদান করেছেন দু’জন। তারপর থেকেই ঘরে বাইরে-চাপে শাসক দল।
ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে চলছে প্রশাসনিক স্তরে খোঁজখবর। অনাস্থা আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। এ দিকে ওই দুই কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি এবং রমাপ্রসাদ গিরি জানিয়েছেন, তাঁরা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। তাই মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাবেন।
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি সোমবার বলেন, ‘‘দল ছেড়ে যেতেই পারে। তাতে কোন কিছু যায় আসে না। তবে কর্মাধ্যক্ষ পদ নিয়ে কোন চিন্তাভাবনা হয়নি। যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তখন জানিয়ে দেওয়া হবে। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘অন্য দলে যোগদান করেছেন মানেই তৃণমূলে তাদের আর সম্পর্ক নেই।’’
অন্যদিকে, রবিবার রাতে একটি চায়ের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের বান্দীপুর গ্রামে। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি-র বেশ কয়েকজন এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য আগুন ধরিয়েছে চায়ের দোকানে। অন্য দিকে, ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দায়ী বলে দাবি বিজেপি-র।