ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ অব্যাহত। তৃণমূলের সন্ত্রাসে বহু বাম কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। রবিবার পুলিশি সক্রিয়তার দাবি জানিয়ে সবং থানায় স্মারকলিপি জমা দিল বামেরা। সবংয়ের দুবরাজপুরের ২২ জন ঘরছাড়া কর্মীকে ফেরানোর দাবি জানানো হয়।
গত ৯ এপ্রিল দুবরাজপুরে তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা খুন হন। ঘটনার পর থেকেই এলাকার ২২ জন বাম কর্মী ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। বামেদের দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে দলের কর্মীরা ঘরে ফিরতে পারছে না। ভেমুয়া ও মোহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বাম ও কংগ্রেস কর্মীদের ওপর তৃণমূলের লোকেরা অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি সবং থানায় শান্তি বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি বদলের আশ্বাস দেওয়া হয়। যদিও তারপরেও সন্ত্রাস অব্যাহত বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতেও দুবরাজপুরে কয়েকজন বাম কর্মীর বাড়িতে তৃণমূলের লোকেরা ভাঙচুর চালায়। মোহাড়ে এক মহিলাকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ দিন সবংয়ের নেতা তথা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অমলেশ বসু বলেন, “সবং থানায় শান্তি বৈঠকের পরেও তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দুবরাজপুরে আমাদের কর্মীরাও ঘরে ফিরতে পারছে না। বাদ নেই কংগ্রেস কর্মীরাও।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ তৃণমূল নেতার কথা শুনে কাজ করছে। পুলিশি সক্রিয়তার দাবিতে আমরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।”
এ দিন খড়্গপুরের এসডিপিও কার্তিক মণ্ডল বলেন, “শনিবারই দুবরাজপুরে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এলাকা শান্ত রয়েছে। কেউ যদি এলাকায় ফিরতে চায় সে ক্ষেত্রে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তারপরেও কোনও সমস্যার কথা আমাদের জানালে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”