শীত পড়তেই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছেন অনেকেই। প্রচারের অভাবে আবার জেলার অনেক ট্যুরিস্ট স্পটের কথা আজও অনেকেরই অজানা। আরও বেশি পর্যটক টানতে এ বার দু’টি ট্যুরিস্ট সার্কিট গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হল জেলায়।
আগেই এই পরিকল্পনার কথা রাজ্যের পর্যটন দফতরকে জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি পর্যটন দফতর পরিকল্পনার ডিপিআর (ডিটেলস্ প্রোজেক্ট রিপোর্ট) চেয়ে পাঠিয়েছে। সেই মতো ডিপিআর তৈরির কাজ শুরুও হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরে দু’টি ট্যুরিস্ট সার্কিট গড়ে উঠবে। সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ট্যুরিস্ট স্পটগুলো আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।” জেলার উন্নয়ন ও পরিকল্পনা আধিকারিক সুমন্ত রায় বলেন, “জেলায় পর্যটনের প্রসারের সব রকম চেষ্টা চলছে।”
‘ট্যুরিস্ট সার্কিট’ কী?
কয়েকটি ‘ট্যুরিস্ট স্পট’ নিয়ে ট্যুরিস্ট সার্কিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, একটি সার্কিটের মধ্যে থাকবে গোপগড়, কর্ণগড়, পাথরা, মোহবনি, নাড়াজোল রাজবাড়ি, বীরসিংহ প্রভৃতি। অন্য একটি সার্কিটে থাকবে কুড়ুমবেড়া দুর্গ, মোগলমারি, শরশঙ্কা।
বছরভর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কমবেশি পর্যটকেরা ঘুরতে আসেন। এ বার আরও বেশি পর্যটক টানতে উদ্যোগী হচ্ছে জেলা প্রশাসন। সেই মতো বিভিন্ন ‘ট্যুরিস্ট স্পট’গুলো নতুন করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সব রকম পরিকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। পরিকল্পনা রূপায়িত হলে পর্যটকদের সুবিধা হবে। আরও বেশি পর্যটক জেলায় আসবেন।” তাঁর কথায়, “পর্যটনের প্রসার হলে ভ্রমণপিপাসুদের বিনোদনের পাশাপাশি স্থানীয়দের বিকল্প আয়ের সংস্থান হবে। তাই এই দিকটি এ বার গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।”
জঙ্গলমহলে অশান্তি পর্বে জেলায় পর্যটকের সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে গিয়েছিল অনেকটাই। অবশ্য সেই পর্ব এখন অতীত। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় ফের ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। তাই আরও বেশি পর্যটক যাতে জেলায় আসেন, সে জন্য জেলার ট্যুরিস্ট স্পটগুলো নিয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে একটি তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “তথ্যচিত্রটি দেখলে জেলা সম্পর্কে একটা ধারণা হবে পর্যটকদের। এখানে আসার ব্যাপারে তাঁরা উত্সাহিতও হবেন।” ওই আধিকারিক বলছিলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রচুর বেড়ানোর জায়গা রয়েছে। অনেকেই তা জানেন না। সকলকে তা জানাতেই এই তথ্যচিত্র।”