থইথই: নিকাশির অভাবে ডুবেছে রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
বর্ষা এসেছে খাতায় কলমে, পুরোদস্তুর বৃষ্টির মৌতাত শুরুই হয়নি। তবু সোমবার রাতের ভারী বৃষ্টিতে জল থই থই পাঁশকুড়া। বিশেষত, শহরের রেল কলোনি এবং জিআরপি থানার সামনের রাস্তা। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে কংক্রিটের রাস্তা। ফলে স্টেশনে যাওয়া পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে দিনভর।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাঁশকুড়া পুরসভার রেল কলোনি এলাকায় ২৪ পল্লি যাওয়ার কংক্রিট রাস্তার একাংশ জলমগ্ন সোমবার রাত থেকেই। ফলে স্টেশনে যাওয়াই বিড়ম্বনা।
শুধু তাই নয়, পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে পাঁশকুড়া জিআরপি থানা যাওয়ার পাকা রাস্তাও জলমগ্ন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এইসব এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে গিয়েছে। তাই প্রথম বৃষ্টিতেই জল জমে গিয়েছে। অভিযোগের আঙুল পুরসভার দিকে। বাসিন্দাদের দাবি, আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এমন অবস্থা হত না সোমবার।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন সংলগ্ন বাজার থেকে রেল কর্মীদের আবাসন যাওয়ার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। কিন্তু তার পাশেই ২৪ পল্লি যাওয়ার রাস্তাটি কংক্রিটের। স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন অধিকারী বলেন, ‘‘এলাকায় বড় নিকাশি নালা রয়েছে। কিন্তু তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। রাস্তার ধারে আবর্জনা জমে থাকে।’’ তাঁর দাবি, নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পুরসভা গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই বিপত্তি সে কারণেই। এমনটা মনে করেন পুর এলাকার অন্য বাসিন্দারাও।
এমনকী একই কথা শুনিয়েছেন পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নবকুমার ভট্টাচার্যও। দায় স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘রেল কলোনি এলাকায় জল নিকাশির সমস্যার জন্য রাস্তা জলমগ্ন হচ্ছে।’’ কিন্তু তাঁর অভিযোগ আবার রেলের বিরুদ্ধে। নবকুমারবাবুর দাবি, ‘‘সমস্যা মেটাতে পুরসভা উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু রেলের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কাজও হচ্ছে না।’’
পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান বলেন, ‘‘রেল কলোনি ও আশপাশ এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা আগের চেয়ে ভাল হয়েছে। তবে এলাকায় পানীয় জলের পাইপ লাইনের কাজ চলছে। তাই সাময়িক ভাবে জল জমছে। কিন্তু তা বের করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’