Alcohol Consumption

দোলে মদে আয় ১ কোটির বেশি

জেলা আবগারি দফতর সূত্রে খবর, গত দু’দিনে ১৮ হাজার লিটার বিয়ার বিক্রি হয়েছে এই জেলায়। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৬ লক্ষ। দেশি মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩৭০০ লিটার।

Advertisement

রঞ্জন পাল

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৭
Share:

কোটি টাকার মদ বিক্রি ঝাড়গ্রামে। প্রতীকী চিত্র।

দোল উপলক্ষে বিপুল মদ বিক্রি হল ঝাড়গ্রাম জেলায়।

Advertisement

সোমবার ও মঙ্গলবার মিলিয়ে জঙ্গলমহলের এই জেলায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে সরকারের ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে বলে আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা আবগারি দফতরের এক আধিকারিক জানান, দোলের আগের দিন সোমবার ৮৯ লক্ষ ও দোলের দিন ৫১ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। তিনি বলছেন, ‘‘পর্যটন কেন্দ্রে তুলনামূলক ভাবে মদ বেশি বিক্রি হয়। উৎসবে অনেকেই মদ্যপান করে থাকেন। এবার দোলে অনেক পর্যটক এসেছিলেন ঝাড়গ্রামে। তাই বিক্রিও বেশি হয়েছে।’’

জেলা আবগারি দফতর সূত্রে খবর, গত দু’দিনে ১৮ হাজার লিটার বিয়ার বিক্রি হয়েছে এই জেলায়। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৬ লক্ষ। দেশি মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩৭০০ লিটার। হুইস্কি, রাম-সহ অন্যান্য মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ১১ হাজার লিটার। এর আগেও উৎসবের মরসুমে প্রচুর মদ বিক্রি হয়েছে এই জেলায়। যেমন গত বছর দুর্গাপুজোর চার দিনে কমবেশি ৩ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল এই জেলায়। পুরো পুজোর মরসুম ধরলে মদ বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১১ কোটি টাকার।

Advertisement

জেলা আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ৩৬টি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান রয়েছে। তার মধ্যে বিয়ার বিক্রি করার লাইসেন্স রয়েছে ৩৪টি দোকানের। সেই ৩৪টি দোকানের মধ্যে ২৬টি অফশপ। ৮টি অনশপ (বার, হোটেল। ওই ৮টি অনশপের মধ্যে ৪টি ঝাড়গ্রাম শহরে রয়েছে। বাকিগুলি আছে জামবনি ব্লকের চিচিড়ায়, গোপীবল্লভপুরে, শিলদায় ও লালগড়ের সিঁজুয়ায়। মঙ্গলবার, দোলের দিন অফ ও অনশপগুলি ‘হাফ ডে’ ছিল। অর্থাৎ দুপুর ২টোর পর থেকে খোলা ছিল সেগুলি। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন দোলের দিন মদের দোকান পুরো বন্ধ থাকবে। তাই অনেকেই সোমবার আগে ভাগেই মদ কিনে রেখেছিলেন।

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের রাজস্বের একটা বড় অংশ আসে আবগারি দফতর থেকে। মদ বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্বের পরিমাণও বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবগারি দফতরের দাবি, চোরাই পথে ভিন রাজ্য থেকে আসা মদ বিক্রির পরিমাণও অনেকটাই কমেছে। চোলাই বন্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।

ঝাড়গ্রামের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর হাসরত সাহিন বলেন, ‘‘বেআইনি মদ বিক্রি করতে লাগাতার নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জেলায় বড়সড় কোনও চোলাই ভাটি নেই। চোলাই বিক্রির পরিমাণ কমানোর জন্যই সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত মদ বিক্রি বেড়েছে।’’ হাসরত জানাচ্ছেন, ‘‘দোলের গত দু’দিনে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। গরম পড়ায় বিয়ার অনেক বিক্রি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement