বিয়ার বেচে কোটি টাকা আয়। প্রতীকী চিত্র।
তীব্র গরম পড়তেই রেকর্ড পরিমাণ বিয়ার বিক্রি হল হল ‘ছোট্ট জেলা’ ঝাড়গ্রামে। ছাপিয়ে গিয়েছে অতীতের যাবতীয় রেকর্ড। চলতি মাসে ১৯ দিনে শুধুমাত্র বিয়ার বিক্রি করে জেলা থেকে প্রায় ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে সরকারের।
আবগারি সূত্রের খবর, গত ২০১৯-’২০ আর্থিক বর্ষে সারা বছর ধরে বিয়ার বিক্রি করে ২ কোটি ৭২ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০৭ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। আর সেখানে চলতি বছরে এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৫০ লিটার বিয়ার বিক্রি হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলায়। চলতি মাসে আরও এক লক্ষ লিটারের বেশি বিয়ার বিক্রির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবগারি দফতরের কর্তারা মনে করছেন। জেলা আবগারি দফতরের এক কর্তা জানান, যে হারে গরম রয়েছে তাতে সব মিলিয়ে এপ্রিল মাসেই সাড়ে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে।
আবগারি সূত্রের খবর, গত বছর এপ্রিল মাসে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৫৪ লিটার বিয়ার বিক্রি হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলায়। গত তিনদিনে জেলায় ৪৫ হাজার লিটার বিয়ার বিক্রি হয়েছে। গত বছর বিয়ারের জোগান কমে যাওয়ায় জেলায় গরমের সময় কালোবাজারি শুরু হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে জেলায় বিয়ারের ঘাটতি দেখা দেয়নি। জেলা আবগারি দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, গত বছরের শিক্ষা নিয়ে এ বার বাড়তি মজুত করে রাখা হয়েছে।
কেন বাড়ছে বিয়ারের বিক্রি? বিক্রেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরমে ঠান্ডা বিয়ার পছন্দ করেন অনেকে। এ ছাড়া দামের বিষয়টি রয়েছে। দেশি মদ ৬০০ মিলিলিটারের দাম ১৫৫ টাকা। আর সেখানে ৬৫০ মিলিলিটার বিয়ারের সর্বনিম্ন দাম ১৩০ টাকা। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান রয়েছে ৩৬টি। তার মধ্যে বিয়ার বিক্রি করার লাইসেন্স রয়েছে ৩৪টি দোকানের। ৩৪টি দোকানের মধ্যে ২৬টি অফশপ। অনশপ ৮টি। ৮টি অনশপের মধ্যে ঝাড়গ্রাম শহরে চারটি রয়েছে। জামবনি ব্লকের চিচিড়ায় একটি, গোপীবল্লভপুরে একটি, শিলদায় একটি, লালগড়ের সিঁজুয়ায় একটি রয়েছে।
দোলের সময় জেলায় দু’দিনে ১৮ হাজার লিটার বিয়ার বিক্রি হয়েছে জেলায়। অর্থাৎ প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার বিয়ার বিক্রি হয়েছিল। জেলা আবগারি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে ঝাড়গ্রামে বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণ ও মধ্য বয়স্কদের ঝোঁক বাড়ছে বিয়ারের প্রতি। যার জন্য আমরা গতবার বিয়ার বিক্রিতে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়ে পুরস্কৃত হয়েছি।’’