বেহাল: এই সেতুই ভাবাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র
অন্ধকারে বড় গাড়িকে পাশ দিতে গিয়ে অনেকেই এই সেতু থেকে সাইকেল নিয়ে পড়ে গিয়েছেন। কেউ ভাঙা রেলিং দিয়ে নীচে উঁকি মারতে গিয়ে পড়ে গিয়েছেন। এমন সেতু দিয়ে নিত্য যাতায়াতে রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। বহুবার অভিযোগও জানানো হয়েছে। অথচ সেই সেতু সংস্কারে উদ্যোগী হল না প্রশাসন।
চাঁইপাট থেকে বৈকুন্ঠপুর হয়ে দাসপুর বা ঘাটালে যাওয়ার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাসুদেবপুরের এই সেতু। সত্তরের দশকে তৈরি পাকা সেতুটির দু’ধারের রেলিং ভেঙে গিয়েছে অনেকদিন। সেতুর নিচের দিকে চাঙর খসে পড়ছে। প্লাস্টার ছেড়ে গিয়ে ঢালাইয়ের রডের খাঁচা বেরিয়ে পড়েছে। এমনই হাল বাসুদেবপুর হাই স্কুল ও প্রাইমারি স্কুলের সংলগ্ন এই সেতুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাসপুর-১ ও ২ ব্লকের নিভয়পুর, বড় শিমূলিয়া, বাণেশ্বরপুর, ভুতা, বরুণা ও চাঁইপাট-সহ প্রায় দশ বারোটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন এই সেতু দিয়ে। সেতুটির উপর দিয়ে চাঁইপাট থেকে বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত অটো ও ট্রেকার চলাচল করে। দাসপুর-২ ব্লকের চাঁইপাট গ্রামের অয়ন দাস বলেন, “ঘাটাল গেলে মোরাম রাস্তা দিয়ে যাই। না হলে পাকা রাস্তা দিয়ে যেতে হলে প্রায় সাত কিলোমিটার বেশি ঘুরতে হয়। তাই ওই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” বাসুদেবপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিয়কান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সেতুটির রেলিং না থাকায় কিছু দিন আগেই এক ছাত্র সাইকেল নিয়ে নিচে পড়ে গিয়েছিল। বিষয়টি অঞ্চল প্রধান-সহ পঞ্চায়েত সমিতিতে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
সমস্যার কথা স্বীকার করে দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গীতা গোস্বামী বলেন, “ওই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদের সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত সেতু সংস্কার করা হবে।’’