তেমন ভিড় নেই মাছের বাজারে। —নিজস্ব চিত্র।
পুজোর মুখে এগরা বাজারে পড়ছে বড় মাছের দাম। সৌজন্য ফর্মালিন আতঙ্ক।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এগরার মাছ বাজারে গত দু সপ্তাহে ধরে অন্ধ্রপ্রদেশের মাছের আমদানি কমেছে ৯০ শতাংশ। দেশি চারা পোনায় ক্রেতার চাহিদা থাকলেও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমদানিকৃত বড় মাছের চাহিদা তলানিতে পৌঁছেছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ফিসারি মাছের উপর নির্ভর করছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
পশ্চিমবঙ্গের মাছের চাহিদার বেশির ভাগ যোগান দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ। সম্প্রতি এক রিপোর্টের সেখানের আমাদানিকৃত মাছের মধ্যে ফর্মালিন থাকার বিষয়টি সামনে আসে। এগরার ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন এর পরেই অন্ধ্রের বড় মাছের চাহিদা কমেছে এলাকায়। এখন তাঁদের ভরসা ঘরোয়া ফিসারির চারা মাছ। আর সেই চারা মাছ কিনতে গিয়েও ক্রেতারা তাঁদের হাজারো প্রশ্ন করছেন বলে জানাচ্ছেন মাছ বিক্রেতারা। স্থানীয় বাসিন্দা অশ্বিনী দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘‘খবরের দেখছি মাছা ফর্মালিন দেওয়া হচ্ছে। তাই বাজারে স্থানীয় চারা মাছ এবং চিংড়ি কিনেছি।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় ফিসারির ৫০০ গ্রাম থেকে এক কিলোগ্রাম ওজনের রুই, কাতলা মাছের যোগানের উপর বাজার নির্ভর করছে। যেখানে বিলাসপুর রুই মাছের দাম ১৭০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম ছিল, এখন সেই মাছ ১২০ টাকা করেও বিক্রি হচ্ছে না। আগে বিলাসপুরের কাতলা মাছ ২৩০ টাকা বিক্রি হতো, এখন পুজোর মরসুমে সেই মাছ ১৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, অন্য রাজ্যের মাছের যোগানে টান পড়ায় প্রতিদিনই তাঁদের প্রায় কয়েক হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। মন্মথ সিংহ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘ফর্মালিনের গুজবে মানুষ বিলাসপুরের মাছ তেমন কিনছেন না। শুধু দেশি, রুই কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে। তার উপর ময়নার ফিসারি মাছেরও চাহিদা কমে যাওয়ায় পুজোর মরসুমেও মাছ বাজারে ক্রেতাদের ভিড় নেই।’’
যদিও ক্রেতাদের অযথা ভয় করতে বারণই করছে জেলা মৎস্য দফতর। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অন্ধ্র বা বিলাসপুর থেকে আসা মাছ সাধারণত শিয়ালদহ, বেহালা থেকে সারা জেলায় ছড়িয়া যায়। সেখানে মৎস্য দফতরের লোকেরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তাতে ফর্মালিন মেলেনি।’’ পুজোর পরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে মৎস্য দফতর।