বিপজ্জনক ফুট ব্রিজ। —নিজস্ব চিত্র।
জনবহুল রেলস্টেশন। পূর্ব মেদিনীপুরে ঢোকার অন্যতম প্রবেশদ্বার। ঘোষণা ছাড়াই সেই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের ফুট ব্রিজের একাংশ বন্ধ করা হয়েছে মঙ্গলবার। এর ফলে ঘুরপথে লাইন পেরিয়ে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে বাড়ছে ক্ষোভ। তাঁদের প্রশ্ন, ফুট ব্রিজ যদি তাহলে, তাহলে নতুন ওভার ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে না কেন?
মঙ্গলবার বিকেল থেকে মেচেদা বাসস্ট্যান্ডের দিক থেকে ফুট ওভার ব্রিজের ৫-৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত অংশে যাত্রীদের যাতায়াত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে রেল। এখন বাসস্ট্যান্ড থেকে মেচেদা পান বাজার, রেলের পার্সেল বুকিং অফিস হয়ে রেললাইন পেরিয়ে প্ল্যাটফর্মে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। সেটাও কম ঝুঁকি পূর্ণ নয়। এতেই যাত্রীরা সরব।
পর্যন্ত অংশ চালু রয়েছে। এ বিষয়ে স্টেশনে রেলের মাইকে প্রচার করে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে। আচমকা এমন পদক্ষেপের ফলে ভুগতে হচ্ছে যাত্রীদের। মেচেদা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে হাওড়া এবং খড়গপুরগামী সমস্ত ট্রেন ধরতে যাত্রীদের ঘুরপথে প্লাটফর্মে পৌঁছাতে হচ্ছে। আপাতত বাসস্ট্যান্ড থেকে মেচেদা পান বাজারের কাছ দিয়ে রেলের পার্সেল বুকিং কাউন্টারের কাছে রাস্তা দিয়েই বিভিন্ন প্লাটফর্মে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। মেচেদা স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করা সনৎ ঘড়া বলছেন, ‘‘ওই ফুটওভার ব্রিজ গত চার বছর ধরে বেহাল। পুজোর সময়ে অতিরিক্ত লোকজন যাতায়াত করলে সেটি দুলতে থাকে। তখন রেলের তরফে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর পরেও এতদিন সেটি মেরামত করা হয়নি। বা নতুন সেতু বানানোর কাজও শেষ হয়নি।’’ রেল যাত্রী সংগঠন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে (হাওড়া-জকপুর) প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অজয় দোলাইয়ের অভিযোগ, ‘‘বিকল্প ফুট ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তা এখনও শেষ হয়নি। আরও আগে কাজ শেষ করা এবং বেহাল ব্রিজের মেরামতির প্রয়োজন ছিল।’’
কত দিন বন্ধ থাকবে ফুট ব্রিজের ওই একাংশ, তা এখনও জানায়নি রেল দফতর। তবে দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক বলছেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শনের সময়ে ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছিল। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই একাংশ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। নতুন ওভারব্রিজের কাজওজোরকদমে চলছে।’’