কিশোরী পরিচারিকাকে ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে পথে নামল রাজনৈতিক দলগুলি। বুধবার শাসক ও বিরোধী দুই তরফেই মিছিল বের করা হয় শহরে। তৃণমূল স্মারকলিপিও জমা দেয় এসডিপিও-র কাছে। এ দিনই মৃতার মায়ের সঙ্গে দেখা করেন হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তিনি বলেন, “দলমত নির্বিশেষে এই ঘটনায় সোচ্চার হওয়া উচিত। প্রকৃত তদন্ত হোক, আমরা দোষী ব্যক্তির শাস্তি চাই। প্রয়োজনে বিধানসভাতেও এই ঘটনা তোলা হবে।”
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ব্রজনাথচক থেকে মহকুমাশাসক এবং বিডিও-র দফতর পর্যন্ত মিছিল করেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যরা। নেতৃত্ব দেন বিধায়ক। মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু নস্করের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেন তাপসীদেবী। মহকুমাশাসক এ বিষয়ে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ব্রজনাথচক থেকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতর পর্যন্ত মিছিল করে যান তৃণমূলের সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতির মহিলারা। হত্যাকারীর শাস্তি চেয়ে ব্যানার নিয়ে গিয়ে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেন এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায়ের কাছে। সংগঠনের সভানেত্রী রিনা মণ্ডল বলেন, “এই ঘৃণ্য অপরাধ যে করেছে তাকে কোনও ভাবে ক্ষমা করা যাবে না। আইন আইনের পথে চলুক এটাই আমরা চাই।”
এ দিনই অভিযুক্ত শ্রীমন্ত তুং-কে নিজেদের হেফাজতে চাইল হলদিয়া থানার পুলিশ। সে আবেদন মঞ্জুর করে হলদিয়া মহকুমা আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (১) শুভজিৎ চৌধুরী ধৃতের ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বাস উল্টে জখম। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল পাঁচারুল-হাওড়া রুটের একটি বাস। বুধবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে পেঁড়ো বাকুলি পাড়া এলাকায়। কমবেশি ৪০-৫০ জন আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বাঁকের মুখে উল্টে যায় বাসটি।