বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ঝাড়গ্রাম থিম্যাটিক পার্ক ও নিজস্বী জোন (ডানদিকে)। তালাবন্ধ পুরসভার পর্যটন তথ্যকেন্দ্রও। নিজস্ব চিত্র।
রেডি, পাউট, ক্লিক। ঘুরতে গেলে নিজস্বী নিশ্চিত। আর এই তিনটি শব্দ হামেশাই শোনা যায় পর্যটকদের মুখে। পিকচার পোস্টকার্ডই এখন নাম বদলে বোধহয় নিজস্বী হয়েছে। এমনই দাপট নিজস্বীর যে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় নিজস্বীর জন্য আলাদা জায়গা করতে হয়। কিন্তু ঘোরাঘুরির ভরা মরসুমে যদি পর্যটনকেন্দ্রের ‘নিজস্বী জোন’ বন্ধ থাকে? সে রকমই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রামে। ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি ঝাড়গ্রাম পুরসভার থিম্যাটিক পার্ক ও ‘নিজস্বী জ়োন’ তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ওই পার্কের পাশেই রয়েছে পুরসভার পর্যটন তথ্যকেন্দ্র। সেটিও তালাবন্ধ। প্রশ্ন তুলছেন পর্যটকেরা।
আনলকের পরে সফরের মরসুম। ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের বেশ ভিড়। কিন্তু পর্যটকদের জন্য তৈরি করা বিনোদন কেন্দ্রই বন্ধ ভরা মরসুমে। ঝাড়গ্রাম স্টেশনের বাইরে ভাড়ার গাড়ির স্ট্যান্ডের পাশে রয়েছে পর্যটন তথ্যকেন্দ্র। গত বছর সেটি নতুন ভাবে চালু করা হয়। পর্যটকেরা সেখান থেকে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও হোটেলের তথ্য পান। গত বছর নভেম্বরে তথ্যকেন্দ্রের পাশে পুরসভার উদ্যোগে ‘নিজস্বী জ়োন’-সহ থিম্যাটিক পার্ক তৈরি করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই দু’টি সর্ব-সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরে মার্চের শেষ নাগাদ তথ্যকেন্দ্র ও পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আনলক পর্বেও তালা খোলা হয়নি।
থিম্যাটিক পার্ক ও ‘নিজস্বী জোনে’ রয়েছে পাহাড় ও জঙ্গলের প্রতিলিপি। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে হাতি ও বাঁটুল দ্য গ্রেটের মূর্তি। রয়েছে ছোট সাঁকো। এ ছাড়া নিজস্বী তোলার জন্য ‘আই লাভ ঝাড়গ্রাম’ লেখা সুদৃশ্য বোর্ডও রয়েছে। ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসা কাঞ্চন দাশ, ইরাবতী সামন্তদের প্রশ্ন, ‘‘পর্যটন শহরে পর্যটকদের সহায়তাদানের তথ্যমিত্র কেন্দ্রটি তালা বন্ধ। নিজস্বী পার্কের দরজাও বন্ধ। পার্কে ঢোকার একদিকের দরজার সামনে মল-মূত্র, নোংরা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। পর্যটকদের স্বার্থে তথ্যকেন্দ্র ও পার্ক খোলা উচিত।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, ‘নিজস্বী পার্ক’ ও তথ্যকেন্দ্রের পরিষেবা দেওয়া ও দেখাশোনার জন্য পুরসভার দু’জন অস্থায়ী কর্মী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দু’জন অস্থায়ী কর্মীকে গত বছর দায়িত্ব দেওয়া হয়। করোনা-কালে ওই কর্মীরা নিজেদের দফতরে ফিরে যান। ‘নিজস্বী পার্ক’ খোলা ও তথ্যকেন্দ্র চালু করার উদ্যোগ করা হয়নি। সূত্রের খবর, স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে পুরসভার দৃষ্টি আকষর্ণ করেছেন। পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক তুষারকান্তি শতপথী বলেন, ‘‘শীঘ্রই নিজস্বী পার্ক ও পর্যটন তথ্যকেন্দ্র খোলা হবে।’’