শক্তি বাড়াচ্ছে সিপিএম। প্রতীকী চিত্র।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে নন্দীগ্রামের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে শক্তি বাড়াচ্ছে সিপিএমের। সোমবার রাজ্যের কারা দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির বিধানসভা এলাকা রামনগরের এক সভায় তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে ৯২০টি পরিবার লাল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বলে দাবি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এদিনের যোগদান পর্ব দলে বাড়তি অক্সিজেন মিলবে বলে মনে করেন সিপিএম নেতৃত্ব।
সোমবার বিকেলে রামনগর-২ ব্লকের কালিন্দিতে একটি জনসভা ছিল সিপিএমের। সেখানে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-র রাজ্য সম্পাদক সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় তৃণমূল থেকে ৬৬৩টি পরিবার এবং বিজেপি থেকে ২৫৭ টি পরিবার যোগ দেন সিপিএমে। তারা রামনগর বিধানসভা এলাকার তালগাছাড়ি, পদিমা, মৈতনা, হলদিয়া, গোবরা এবং পালধূই অঞ্চলের বাসিন্দা বলে সিপিএম নেতৃত্বর দাবি। তৃণমূল থেকে সিপিএমে যোগদানকারী ফারুক আলি ও শঙ্কর জানার মতো কয়েক জন লাল ঝান্ডা হাতে নেওয়ার পর বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতি যেভাবে সামনে এসেছে মেনে নিতে পারছি না। গণতন্ত্র বাঁচাতে সিপিএমে যোগ দিলাম।’’
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত কেমিক্যাল হাবের বিরোধীতা করে জমি আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। যাকে হাতিয়ার করে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে একজনও বামেদের টিকিটের নির্বাচিত হতে পারেননি। এমন আবহে নন্দীগ্রামের জেলায় এক সঙ্গে ৯০০টিরও বেশি পরিবার বিভিন্ন দল থেকে এসে যোগ দেওয়ায় খুশি সিপিএম নেতৃত্ব। এদিন সভা শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এটাই এখন রাজ্যের ট্রেন্ড। বিভিন্ন সময়ে বামপন্থীদের ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছিলেন। এখন তাঁরা তৃণমূল এবং বিজেপির গাট ছড়া বুঝতে পেরে আমাদের দলে প্রত্যাবর্তন করছেন।’’
তবে এ দিনের যোগদানে দলে কোনও ভাঙন হয়নি বলে দাবি কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসকদলের। স্থানীয় বিধায়ক কথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘যারা একটা মিছিল করার মতন লোক পায় না, তাদের দলেই কি না ৬০০র বেশি তৃণমূল পরিবার যুক্ত হয়েছে! এমন দাবি কোনও মতে মেনে নেওয়া যায় না।’’ একই রকম ভাবে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, ‘‘হাস্যকর কথাবার্তা। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে পরিকল্পনা করে এসব নাটক করা হচ্ছে।’’