সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজস্ব চিত্র
জঙ্গলমহলের আদিবাসী-মূলবাসীদের দাবি-দাওয়াকে সংগঠিত করে ও পঞ্চায়েত স্তরের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার ঝাড়গ্রামের টাউন হলে আয়োজন করা হয় সিপিএমের জেলা কমিটির সাংগঠনিক কর্মিসভার। জেলার ২০টি এরিয়া কমিটির ২৮৪ জন সদস্য আর ২২০টি শাখার সম্পাদকেরা সভায় হাজির ছিলেন। প্রধান বক্তা সূর্যবাবু।
সিপিএম সূত্রের খবর, নবগঠিত ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির আন্দোলনের অভিমুখ কী হবে তা চূড়ান্ত করতেই এ দিন এসেছিলেন রাজ্য সম্পাদক। এ দিন সূর্যবাবু দাবি করেন, ২০০৮ সালে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের কাজে লাগিয়ে পরিকল্পিত ভাবে জঙ্গলমহলে অশান্তি পাকানো হয়েছিল। পিছনে তৃণমূল। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গত ছ’বছরে তৃণমূলের নৈরাজ্যে জঙ্গলমহলের মানুষও বীতশ্রদ্ধ। কিন্তু শাসকের সন্ত্রাস আর পুলিশি দমননীতির ফলে তাঁরা প্রতিবাদও জানাতে পারছেন না।’’ এই পরিস্থিতিতে দলকে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা নিতে হবে বলে পরামর্শ দেন সূর্যবাবু।
সভায় ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে, জেলা সম্পাদক ডহরেশ্বর সেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায় প্রমুখ।