একটি মাত্র লোকালে ক্ষোভ
Adra Division

আজ ট্রেন আদ্রা শাখায় 

ট্রেনের চাকা গড়ানোর খবরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে স্টেশনে-স্টেশনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গড়বেতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে আজ, সোমবার। মার্চ মাসের পরে এই প্রথম ট্রেনের চাকা গড়াবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-আদ্রা শাখায়। তবে আপাতত মাত্র একটি লোকাল ট্রেন চলার ছাড়পত্র মিলেছে। বাকি যে ট্রেনগুলি চলবে তার সবগুলিই হয় মেল, নয়তো এক্সপ্রেস।

Advertisement

রাজ্য সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের বেশ কিছু শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হলেও খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় একটিও ট্রেন চলছিল না। তাই এই শাখায় কয়েকটি এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি উঠছিল। রেলের আদ্রা ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারই এই শাখায় ট্রেন চালানোর সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রেল। আপাতত ৬টি ট্রেন চলবে এই শাখায়। তার মধ্যে পাঁচটি মেল বা এক্সপ্রেস।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানান, পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস আগে সুপারফাস্ট ছিল। সেটিকে স্পেশাল এক্সপ্রেস করে অসংরক্ষিত কামরা তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই ট্রেনে হাওড়া বা পুরুলিয়া যেতে হলে আগে থেকে আসন সংরক্ষণ করেই উঠতে হবে। আবার চক্রধরপুর-হাওড়া, খড়্গপুর- গোমো, খড়্গপুর-আসানসোল ট্রেনগুলিকে মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিণত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেন বন্ধ হওয়ার আগে এই তিনটি ট্রেন ছিল প্যাসেঞ্জার। তাতে লোকালের টিকিট কেটেই যাতায়াত করা যেত। এখন ভাড়াও আর লোকালের মতো থাকছে না। গোমো-খড়্গপুর ও খড়্গপুর- আসানসোল এই দু’টি ট্রেনে অবশ্য অসংরক্ষিত কামরা রাখা হচ্ছে। তবে রাতের চক্রধরপুর-হাওড়া ট্রেনে কোনও অসংরক্ষিত কামরা নেই। এই শাখায় একমাত্র লোকাল ট্রেনটি চলবে মেদিনীপুর- আদ্রা শাখায়।

Advertisement

ট্রেনের চাকা গড়ানোর খবরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে স্টেশনে-স্টেশনে। গড়বেতা স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার জন্য গোল দাগ আগেই কাটা হয়েছিল। সেখানকার স্টেশন ম্যানেজার তপন রায় জানান, প্ল্যাটফর্ম-সহ স্টেশন চত্বর স্যানিটাইজ় করা হবে। রবিবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, টিকিট কাউন্টারের সামনে হাতে লেখা টাইম টেবিল চিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদ্রা ডিভিশনের এক আধিকারিক জানান, ‘‘ট্রেনের সময়সূচির খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। আগের সময়েই চলবে।’’

তবে ট্রেনের চাকা গড়ালেও লোকালের সংখ্যা মাত্র একটি হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। খড়্গপুর-আদ্রা রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দুর্গাদাস দে বলেন, ‘‘রেলের খামখেয়ালিপনার খেসারত দিতে হবে সাধারণ রেলযাত্রীদের। সাধারণ রেলযাত্রীদের কথা না ভেবে রেল ইচ্ছামতো নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। অনেকে কৃষিপণ্য নিয়ে ট্রেনের সওয়ার হন। যাতায়াত করেন ছাত্র-ছাত্রীরাও। অসুবিধায় পড়বেন তাঁরাও।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement