ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি

শুধু ঘর বদল, দেখা নেই চিকিৎসকের

চিকিৎসক ও কর্মী সঙ্কট নিয়েই চালু হল ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অন্তবির্ভাগ।পুরনো হাসপাতাল ভবন থেকে রোগীদের সরিয়ে আনা হয়েছে নতুন ভবনে। কিন্তু রোগীদের অভিযোগ, রাত থেকে দেখা মেলেনি চিকিৎসকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০০:৪০
Share:

নতুন ভবন। নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসক ও কর্মী সঙ্কট নিয়েই চালু হল ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অন্তবির্ভাগ।

Advertisement

পুরনো হাসপাতাল ভবন থেকে রোগীদের সরিয়ে আনা হয়েছে নতুন ভবনে। কিন্তু রোগীদের অভিযোগ, রাত থেকে দেখা মেলেনি চিকিৎসকের। শনিবার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ইনডোরে গিয়ে দেখা হল চন্দ্রকোনার ছোট আগনা গ্রামের সুমিত্রা সামন্তর সঙ্গে। ক’দিন ধরেই পেটের ব্যথা আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার তাঁকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নতুন শয্যায় নিয়ে আসা হয়েছে। সুমিত্রাদেবী বলেন, “শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোনও চিকিৎসকের দেখা নেই। পুরনো হাসপাতালে তবু দু’বেলা চিকিৎসকেরা আসতেন।”

একই অবস্থা শিশু বিভাগের। বছর খানেকের সাগ্নিক মালিকের প্রচণ্ড জ্বর। ঘাটালের রথিপুরের বাসিন্দা সাগ্নিকও সুপার স্পেশ্যালিটির নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে চিকিৎসকের দেখা পায়নি। তার দিদিমা গীতা দোলই তো বলেই ফেললেন, “এক বছরের শিশুকে তো নতুন ঘর দেখাতে নিয়ে আসিনি! শুক্রবার থেকে নাতিকে দেখতে কোনও চিকিৎসকই আসেনি। অথচ, জ্বর সমানে রয়েছে। চিকিৎসকের খোঁজ করলে উত্তর মিলছে, অপেক্ষা করুন। ঠিক আসবেন।’’ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি থাকা কমবেশি সব রোগীরই এক দশা। আধুনিক সুসজ্জিত কক্ষে নতুন শয্যায় শুয়ে আছেন রোগ নিয়ে। দেখা নেই চিকিৎসকের। ফলে ক্ষুব্ধ রোগীর বাড়ির লোকজনও।

Advertisement

হাসপাতালে সুপার কুণাল মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন অন্য কথা, “চিকিৎসাধীন রোগীর পরিষেবায় কোনও ঘাটতি থাকবে না। চিকিৎসকের সঙ্কট আছে, তবুও শতাধিক রোগী প্রতিদিন পরিষেবা পাচ্ছেন। এ বার নতুন ভবনে আরও সুন্দর পরিবেশ পাবেন তাঁরা।’’ পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের আশ্বাসও দেন তিনি। যদিও সুপারের এই বক্তব্যে অখুশি চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, এমনিতেই রোগীর চাপ বেশি। তারপর এ বার নিয়ম করে দু’জায়গায় ছুটতে হবে। প্রায় সমস্ত বিভাগেই চিকিৎসক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এতে রোগীদেরই অসুবিধা হবে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল থেকে শিশু ও মহিলা (মেডিসিন) বিভাগের রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। প্রাথমিক ভাবে ৬৫টি শয্যা চালু হয়েছে। সুপার বলেন, “এ বার পর্যায়ক্রমে অনান্য বিভাগগুলিও চালু করব। চলতি মাসেই আধুনিক ওটি চালু হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement