প্রতীকী ছবি
করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক গ্রাস করেছে রাজ্যবাসীকে। উপসর্গ দেখে করোনা সন্দেহ হলেই ভর্তি করানো হচ্ছে হাসপাতালে। অবশ্য উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হল আইআইটির এক গবেষক পড়ুয়াকে!
গত সোমবার থেকে খড়্গপুর আইআইটির বিসি রায় হাসপাতালে ওই পড়ুয়া ভর্তি। বছর তেইশের গবেষক ওই পড়ুয়াকে রীতিমতো আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়া সুস্থ রয়েছেন। করোনা সংক্রমণের কোনও উপসর্গও নেই তাঁর শরীরে। শুধুমাত্র সতর্কতা অবলম্বন করতেই আইআইটি কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকি ওই গবেষক পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থার উপর নজরদারি চালাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন জেলা স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট দিতে হচ্ছে।
আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ওই গবেষক পড়ুয়া কয়েকদিন তাইল্যান্ডে ছিলেন। গত ৪ ফ্রেব্রুয়ারি তিনি সেখান থেকে খড়্গপুরে ফিরে আসেন। ইতিমধ্যেই তাইল্যান্ডে বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই গবেষক পড়ুয়ারও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন অনুমান করেই তৎপর হয়েছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই ওই গবেষক পড়ুয়াকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সঙ্গে খবর দেওয়া হয় খড়্গপুরের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পালকে। তিনি বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পরামর্শ মেনেই ওই ছাত্রকে আইআইটির ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।’’ আইআইটির বিসি রায় হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সমীর দাশগুপ্ত বলেন, “করোনা সংক্রমণের কোনও উপসর্গ ওই ছাত্রটির শরীরে নেই। যেহেতু তাইল্যান্ড থেকে ফিরেছেন, তাই আমরা ওঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেছি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মেনেই নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাচ্ছি।”
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “আইআইটির ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যেতে। তবে ওরা বলেছিল, ওদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ওখানেই থাকছে।” তবে বিসি রায় হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমীর দাশগুপ্ত বলেন, “আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা আমাদের বলা হয়নি। আমাদের আইসোলেশনের পরিকাঠামো উন্নত। আপাতত সেখানে রেখেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।”