জমি পরিদর্শনে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও হাইকোর্টের প্রতিনিধিরা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
পৃথক জেলা গঠনের প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগোল ঝাড়গ্রামে। পৃথক ঝাড়গ্রাম জুডিশিয়্যাল ডিস্ট্রিক্ট গঠনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মহকুমা আদালত চত্বরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এসেছিল। ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও।
পশ্চিম মেদিনীপুরের উত্তর-পশ্চিম অংশে ৫৩৯.৬৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে পৃথক ঝাড়গ্রাম জেলা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঝাড়গ্রাম মহকুমার আওতায় এখন ৮টি ব্লক রয়েছে। নতুন জেলায় সর্বোচ্চ দু’টি মহকুমা থাকার সম্ভাবনা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পৃথক জুডিশিয়াল ডিস্ট্রিক্ট গঠনের জন্য হাইকোর্ট সম্মতি দিলে ঝাড়গ্রাম জেলা গঠনে আর সমস্যা থাকবে না।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম মহকুমা আদালত চত্বরে তৈরি হবে সাত তলা জেলা আদালত ভবন। এক ছাদের তলায় নিয়ে আসা হবে ঝাড়গ্রাম জেলা ও সদর মহকুমার দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিভিন্ন আদালতগুলিকে।
এ দিন দুপুর একটা নাগাদ আইনমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকোর্টের প্রতিনিধিরা জেলা আদালত ভবনের জন্য প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করেন। রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়লে এ বছরের মধ্যেই পৃথক ঝাড়গ্রাম বিচারবিভাগীয় জেলা গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝাড়গ্রাম আদালত চত্বরে নতুন জেলা আদালত ভবনটি তৈরি হতে কমপক্ষে বছর দু’য়েক লাগবে। মলয়বাবু জানান, হাইকোর্টের অনুমতি মিললেই জেলা আদালতের এজলাস অস্থায়ী ভাবে চালু হবে পূর্ত দফতরের ইন্সপেকশন বাংলো সংলগ্ন ৪.৭৬ একর জায়গায়। বৃহস্পতিবার পাঁচ মাথার মোড়ে ওই জমি দেখে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি বাংলোয় যান তাঁরা। সূত্রের খবর, ওই বাংলোটি জেলা বিচারকের আবাসন হিসাবে আপাতত ব্যবহার করা হবে।
এ দিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্নবাবুর সঙ্গে ছিলেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার রাই চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের বিচারবিভাগীয় সচিব পবন মণ্ডল, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিচারক আশুতোষ কর। ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, মহকুমাশাসক নকুলচন্দ্র মাহাতোও। ঝাড়গ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুমন সেন বলেন, “জেলা আদালত হলে জঙ্গলমহলের আটটি ব্লকের বাসিন্দারা অভূতপূর্ব আইনি পরিষেবার সুযোগ পাবেন।”