ধৃত বন্দি বিশাল দাস। নিজস্ব চিত্র।
প্রিজন ভ্যানের জানলা গলে পালানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে হলদিয়ার ব্রজনাথচক এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশাল দাস নামে ওই অভিযুক্তকে। তবে আরও এক অভিযুক্ত অনিমেষ বেরা ওরফে রাজা এখনও পলাতক। মাদক পাচারে অভিযুক্ত বিশাল এবং অনিমেষকে মঙ্গলবার মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে তমলুক আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাস্তায় যানজটে প্রিজন ভ্যান আটকে পড়ায় সেই সুযোগ নিয়ে জানলা দিয়ে পালায় দুই অভিযুক্ত।
কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে দুই বন্দি পালাল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে। কী ভাবে খালি হাতে জানলার রড বাঁকিয়ে বন্দিরা পালাল তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়ে তড়িঘড়ি দুই বন্দির খোঁজে রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। এক জনকে ধরতে পারলেও অন্য জনের কোনও হদিশ পায়নি তারা।
বছরখানেক আগে মাদক পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিশাল ও অনিমেষকে হলদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর বিচারাধীন বন্দি হিসেবে তাঁদের মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল তমলুক আদালতে। তাই প্রিজন ভ্যানে করে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে তাদের নিয়ে আসা হচ্ছিল। কিন্তু তমলুক শহরে যানজটে আটকে পড়ে প্রিজন ভ্যান। তখনই গাড়ির জানলা গলে পালিয়ে যায় দুই বন্দি।
গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, হলদিয়া পুরসভার ২২নং ওয়ার্ডের ব্রজনাথচকের বাসিন্দা বিশাল তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তার পরই অভিযানে নামে তারা। রাত ২টো নাগাদ হলদিয়া থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে বিশালের বাড়ি ঘিরে ফেলে। তার পর তাকে ধরা হয়। বিশালকে বুধবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, “দুই অভিযুক্তই হলদিয়ার বাসিন্দা। একজন ধরা পড়লেও অন্য অভিযুক্ত অনিমেষ এখনও অধরা। তাঁকে ধরতে করতে জোর তল্লাশি চলছে।”