মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের গরহাজিরাতেই চলল পরীক্ষা। শনিবার ইতিহাস পরীক্ষার দিন বেলদার প্রভাতী বালিকা বিদ্যালয়ে এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে। ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা কেশিয়াড়ির অবর স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক সোমশ্রী সরেন এ দিন আসেননি। অভিযোগ, তিনি আগেই উত্তরপত্রের প্যাকেটে সই করে গিয়েছিলেন। শেষে পরীক্ষাকেন্দ্রের সম্পাদক তথা স্কুলের টিচার ইন-চার্জ ছন্দা ধারা পরিস্থিতি সামলান।
এ দিন ঘটনার কথায় পৌঁছয় ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয় থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। এরপরই প্রভাতী বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্কুলের টিচার ইন-চার্জ তথা পরীক্ষাকেন্দ্রের সম্পাদক ছন্দা ধারাকে ফোন করা হলে অন্য ব্যক্তি ফোন ধরে ‘উনি ব্যস্ত আছেন’ বলে জানান। পরে মোবাইল সুইচড্ অফ করে দেন। আর স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি অরুণ দেব বলেন, “আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সোমশ্রী সরেন আসেননি শুনে আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। তার পরে সোমশ্রী সরেনকে ফোন করলে তিনি অসুস্থ থাকার কারনে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।” যদিও সোমশ্রী বেরার দাবি, “আমি শনিবার পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু অসুস্থ বোধ করায় উত্তরপত্রে সই করে চলে এসেছি।”
নারায়ণগড়ের বিডিও মানিক সিংহ মহাপাত্রের আশ্বাস, “বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আহ্বায়ক নির্মলেন্দু দে বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে সম্পাদক উপস্থিত থাকায় নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে।”